এক বছর আগে সরকারের পালা বদলের সময়ে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে ন্যায়ের শাসক কার্যত উড়ে গিয়েছিল। সেই সুযোগে চট্টগ্রামের পাহাড়তলি থানা থেকে অস্ত্র লুটের (arms robbery) ঘটনা গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের (Bangaldesh) মানকে নিচে নামিয়ে দিয়েছিল। একবছর পরেও সেই সব অস্ত্র ও বারুদ উদ্ধার করে সরকারের কোষাগারে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার (interim government)। এবার প্রকাশ্যে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। লুট করা অস্ত্রে রীতিমত চলছে দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্য। গ্রেফতার হওয়ায় দুষ্কৃতীদের বয়ান বলছে, লুট করা অস্ত্র তারা ছিনতাই থেকে ডাকাতি – সব রকম কাজই সেরেছেন তারা এই এক বছরে।

৫ অগাস্ট বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা। যার ফলে সাধারণ নাগরিক তো বটেই, লুট হয়েছে একাধিক থানা। তার মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের পাহাড়তলি থানা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেখান থেকে আগ্নেয়াস্ত্র (fire arms) লুট হয়েছিল ৫,৭৫৩টি। গোলাবারুদ (ammunition) লুট হয় ৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৮৩২টি। আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে যেমন এসএমজি, রাইফেল ছিল, তেমনি শট গান পিস্তলও ছিল।

এবার সেই সব অস্ত্রই ব্যবহার হচ্ছে ডাকাতির কাজেও। চট্টগ্রাম থেকে আরিফ হোসেন নামে লুট হওয়া অস্ত্র সহ একজনকে গ্রেফতার করা হয় সম্প্রতি। তার থেকে জানা যায় লুটের অস্ত্র সে ছিনতাই, ডাকাতি করেছিল। এছাড়াও সাইদুর মাসুম নামে এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করা হয়, যে লুট করা পিস্তল দিয়ে চাঁদাবাজিও করেছে। খুলনা থেকে গ্রেফতার ফারুক হোসেন, খাইরুন সরদার লুট করা বিদেশি পিস্তল শটগান দিয়ে দুষ্কৃতীদের থেকে অবৈধ অস্ত্র যোগাড় করার কাজ চালাচ্ছিল।

আরও পড়ুন: বিহারে এত পাক নাগরিক! জানেই না প্রশাসন

বাংলাদেশ প্রশাসনের দাবি বেশিরভাগ অস্ত্র তারা উদ্ধার করেছে। যদিও হিসাব বলছে পাঁচ হাজার অস্ত্রের (fire arms) মধ্যে ৪০০ অস্ত্র এখনও পর্যন্ত উদ্ধার (arms recovery) হয়েছে। বাকিটা দুষ্কৃতীদের হাতেই রয়ে গিয়েছে। আগামী বছর নির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস। তার আগে গোটা দেশে ছড়িয়ে থাকা বেআইনি অস্ত্র নিয়ে চিন্তা রাজনৈতিক দলগুলির।

–

–

–

–

–
