সংবিধান সংশোধনী বিল খতিয়ে দেখতে গঠিত যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিল আম আদমি পার্টি। এর আগে একই ঘোষণা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। ফলে বিরোধী শিবিরের তিন বড় শক্তিই একসঙ্গে মোদি সরকারের এই পদক্ষেপকে বয়কট করল।

২০ অগস্ট লোকসভায় পেশ হয়েছিল এই সংবিধান সংশোধনী বিল। বিল প্রসঙ্গে আপ নেতা সঞ্জয় সিং রবিবার বলেন, “মোদি সরকার পুরোপুরি অসাংবিধানিক একটি বিল এনেছে। এর একমাত্র উদ্দেশ্য বিরোধী নেতাদের জেলে পোরা এবং বিরোধী দলগুলিকে দুর্বল করা। দুর্নীতির অবসান নয়, বরং গণতন্ত্র ধ্বংস করাই এর লক্ষ্য।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, হেমন্ত বিশ্বশর্মা কোন দলে? এই ভ্রষ্টাচার আসলে বিজেপির মধ্যেই।”

তৃণমূল কংগ্রেস আগেই জানিয়েছিল, এই জেপিসিতে তারা থাকবে না। দলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েনের কটাক্ষ, “২০১৪-র পর থেকে প্রতিটি জেপিসিই বিরোধীদের মতামতকে বুলডোজ করে বিজেপির হাতিয়ার হয়েছে। এটা এখন কেবল সময় নষ্টের কৌশল।” তাঁর দাবি, এই কমিটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে উপেক্ষা করার এক উপায় মাত্র।

অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে, তারাও এই জেপিসিতে থাকবে না। এবার একই পথে হাঁটল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিরোধী দলগুলির এই অবস্থান বিজেপির ওপর চাপ বাড়াবে।

তৃণমূলের অভিযোগ, জেপিসি এখন কার্যত গুরুত্বহীন। সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলা এই কমিটিতে বিরোধীদের সংশোধনী প্রস্তাব একেবারেই উপেক্ষিত হয়। অর্থপূর্ণ বিতর্কের জায়গায় বিভাজনকেই বাড়ানো হচ্ছে। এসআইআর ইস্যু ও ভোট অনিয়ম থেকে নজর ঘোরাতেই এই জেপিসির নাটক সাজাচ্ছে মোদি সরকার, দাবি বিরোধীদের।

আরও পড়ুন – মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

_

_

_

_

_