দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় না কি বিরাট পরিবর্তন আনছেন মোদি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীও জেলে গেলে পদ খোয়াবেন। আবার এই আইন আনতে তাঁরা সব দলের কথাও শুনবেন। তাই বিল পাঠানো হয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে (JPC)। আদতে দুর্নীতিগ্রস্তদের দিয়েই যে বিজেপিটা ভরিয়েছেন মোদি-শাহ, আইন পেশ করতেই ঝুলি থেকে সেই বিড়াল বেরিয়ে পড়েছে। তাই সাত তাড়াতাড়ি পাঠিয়েছেন জেপিসিতে। বিজেপির দুর্নীতির সংসারের কারণেই যে বিল পেশ একটা নাটক, আর কোনওদিনই বিজেপি এই বিল পাস করতে পারবে না, স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

গোদি মিডিয়ার সাক্ষাৎকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) দাবি করেন, স্বচ্ছতা তুলে ধরতেই প্রধানমন্ত্রীর পদকে ১৩০ তম সংবিধান সংশোধনীর অন্তর্ভুক্ত করেছেন। মন্ত্রীরা জেলে গেলে (arrest) পদ যেমন যাবে, তেমনই দুর্নীতিমুক্ত প্রমাণেই ফের পদে আসীন হতে পারবেন। তার যুক্তি হিসাবে শাহ তুলে ধরেন, মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister), এমনকি প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) পদত্যাগে বা পদ খোয়ানোয় মন্ত্রিসভা ভেঙে যায় না। জেলমুক্তির পরে ফের পুরোনো পদে তিনি শপথ নিতে পারেন।

তবে এই জেল যাত্রা কথাতে গোড়াতেই যে গলদ, তা চোখে আঙুল দিয়ে ফের একবার দেখিয়ে দিল বাংলার শাসকদল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ দাবি করেন, অপরাধমুক্ত রাজনীতির বিল নিয়ে এত কথা বলছেন কেন অমিত শাহ? ওই বিল জীবনে কার্যকর হবে না, শুধু নাটক।

তার কারণ হিসাবে তিনি তুলে ধরেন, যদি অপরাধমুক্ত রাজনীতি নিয়ে আদৌ কোনো সদিচ্ছা থাকে, তাহলে নীতিগতভাবে, অন্য দলে থাকাকালীন যে সব নেতার বিরুদ্ধে মামলা, অভিযোগ; বিজেপি (BJP) যাদের গ্রেফতার (arrest) দাবি করেছিল, পরে তাদেরই দলে নিয়ে তদন্ত এড়িয়েছে; আগে বিজেপি থেকে তাঁদের বহিষ্কার করুন আপনারা। তারপর নীতিকথা শেখাতে আসবেন।

আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে সরব! হিটলারি কোপে লাদাখের সোনম ওয়াংচু

আদতে অপরাধীতে ভরা বিজেপির (BJP) মুখোশ খুলে তিনি আরও দাবি করেন, জেল থেকে মন্ত্রিত্ব চালানো যায় না- ডায়লগ দিচ্ছেন? আপনারা তাদের বিজেপিতে নিয়ে জেল এড়িয়ে মন্ত্রিত্ব চালানোর পথ করে দেন।

–

–

–

–
