কাফা নেশনস কাপের জন্য ২৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছেন ভারতীয় দলের নতুন কোচ খালিদ জামিল(Khalid Jamil)। কিন্তু সেখানেই সুযোগ হল না রজনও বাঙালি ফুটবলারের। আর এই দল দেখেই কার্যত হতবাক প্রাক্তন ফুটবলাররা। কল্যাণ চৌবে ফেডারেশনের(AIFF) সভাপতি। তাঁর উত্থানই এই বাংলার ফুটবল থেকে। কিন্তু ভারতীয় ফুটবল দল এবার বাঙালি(Bengali Footballer) বিহীন। এমন দল দেখে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন প্রাক্তন ফুটবলাররা। বাংলাকে(Bengal) বঞ্চনা করার কথা্ই উঠে আসছে তাদের মুখে।

একসময় যে ভারতীয় দলে অসংখ্য বাঙালি ফুটবলাররা খেলতেন, সেখানেই কেন বাঙালি ফুটবলারদের বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে। প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন থেকে বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে এই ঘটনাও বাঙালি বিদ্বেষের থেকে কোনও অংশে কম নয়। শুরু হয়ে গিয়েছে তর্জা। কল্যাণ চৌবেকেই(Kalyan Chaubey) কার্যত দায়ী করছেন প্রাক্তন ফুটবলার বিদেশ বসু(Bidesh Bose)।

তিনি জানাচ্ছেন, “কী বলব। আমরা এই নিয়ে কাকে বলব। কল্যাণ চৌবে একজন খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি যদি এটা চিন্তা না করে। আমরা পুরনো খেলোয়াড়াররা কাকে বোঝাবো। ওরই তো বোঝা উচিত্। তার তো বোঝা উচিত ছিল একজনও বাঙালি ছেলে নেই। এছাড়া আমাদের ভারতীয় কোচ। সেই কোচকে কল্যাণ বলতে পারব। এমনই কী অবস্থা যে আমাদের বাঙালিরা ভালো খেলে না। আমার খুবই লজ্জা লাগছে। কয়েকদিন আমাদের আমাদের মন্ত্রী বলছিলেন আমাদের বাংলাকে অবহেলা করা হচ্ছে। এটা ভাবা যায় বাংলার লোক হয়ে, সে আবার সভাপতি হয়ে যদি বাংলার কথা না ভাবে, আমরা আর কী বলব। আমাদের বাংলার ফুটবলারদের যোগ্যতা কী এতটাই কম যে একজনও সুযোগ পাচ্ছে। বাংলা ভাষাকে যেমন বঞ্চনা করছে, এটাও তার মধ্যে পড়ছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাংলাকে এত সুন্দরভাবে চালাচ্ছে সেই কারণেই যেন সহ্য করতে পারছে না”।

মানস ভট্টাচার্যও(Manas Bhattachariya) অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তাঁর কাছে এটা লজ্জার। তিনি জানিয়েছেন, “এটা অত্যন্ত লজ্জ্বার। আসল কথা বাঙালি প্রেসিডেন্ড। উনি বাংলার ব্যপারে জানিনা কিছু বলছেন কিনা। কিন্তু বাংলা থেকে কেউ সুযোগ পাবে না সেটা আমি বিশ্বাস করি না। বাংলা এবার সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন। খালিদ জামিল কোচ হয়েছেন। ওনার উচিত্ ছিল এটা নিয়ে ভাবা। এটা আমাদের সকলকেই অত্যন্ত অবাক করছে”।

–

–

–

–

–

–

–