Tuesday, August 26, 2025

পুজোর অনুদানে স্থগিতাদেশ নয়, হিসেব নিয়ে হলফনামা তলব আদালতের: রাম-বামের দ্বিচারিতাকে নিশানা তৃণমূলের

Date:

রাজ্যে দুর্গাপুজোর (Durga Pujo) অনুদানের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দিল না হাই কোর্ট। এই বিষয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে সোমবার রাজ্যের কাছে হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। অনুদান পাওয়ার পর গত বছর পর্যন্ত কতগুলি ক্লাব খরচের হিসেব দিয়েছে, কারা দেয়নি-তার বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হলফনামা তলব করেছে বিচারপতি সুজয় পালের ডিভিশন বেঞ্চ। পুজো অনুদানের বিরোধিতা করে মামলা দায়ের নিয়ে রাম-বামকে নিশানা করেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়, এটি বিজেপি-সিপিএম (BJP-CPIM) সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা।

এদিন শুনানিতে রাজ্যের তরফে এজি দাবি করেন, অনুদান দেওয়া নিয়ে কোর্ট কোনও আপত্তি করেনি। সুতরাং পুজোর পরে এর শুনানি হোক। তার আগে রাজ্যে হলফনামা দেবে। বিচারপতি পাল তাতে আপত্তি জানান। তাঁর কথায়, পুজোর পরে আর এই মামলার গুরুত্ব কী! কারণ কোর্ট বারে বারে যে সঠিক হিসেব দেওয়ার কথা বলেছে, সেই হিসেব দেওয়ার হচ্ছে না বলেই এখানে অভিযোগ। ফলে সেই ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে হলে পুজোর আগেই করতে হবে। হলফনামা দিয়ে রাজ্য জানাবে ক্লাবগুলি হিসেবে দিয়েছে কি না। যদি না দিয়ে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে? আদালতের (Calcutta High Court) মৌখিক বক্তব্য, যাঁরা টাকা নিয়েও হিসেব দিচ্ছেন না, তাদের বিষয়ে আমাদের ভাবতে হবে। রাজ্যের উদ্দেশে আদালত বলে, প্রয়োজনে তাদের অনুদান বন্ধ করে দিন। বুধবার সেই মামলার শুনানি।

এই মামলার বিষয়ে তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, অনুদান ঘোষণা করলেন বাম-বিজেপি অনুদান ঠেকাতে আদালতে দৌড়ন। অথচ পুজো উৎসবকে কেন্দ্র করে অর্থনীতি চাঙ্গা রাখতেই এই অনুদান দেন মুখ্যমন্ত্রী। কুণাল জানান, আজকে অন্তত কলকাতা হাই কোর্ট এই অনুদানের উপর কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি। সরকার যে পুজো কমিটিকে দেয়, তার হিসেব গুরুত্ব দিয়ে রক্ষা করে। আগের বছরের হিসেব না দিলে বর্তমান বছরের টাকা পাওয়া যায় না-এটাই নিয়ম। যে পুজো কমিটি হিসেব দেবে তারাই টাকা পাবে। এর পরেই বাম-বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূল নেতা বলেন, পুজো মণ্ডপে যেখানে ভিড় হয়, সেখানে বইয়ের স্টল দেয় সিপিএম। এদিকে অনুদানের বিরোধিতা করে। বিজেপি নিজেদের সনাতনী বলে কিন্তু অনুদানের বিরোধিতা করে। মহারাষ্ট্র বিজেপির জোট সরকার গণেশ পুজোয় অনুদান দিচ্ছে সেটা ভালো। আর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অনুদান দিলেই তার বিরোধিতা। এটা সম্পূর্ণ বিজেপি-সিপিএমের দ্বিচারিতা- কটাক্ষ তৃণমূলের।

Related articles

ট্রাম্পের ছোঁয়া পলকাটা হিরেতে! মোদির গুজরাটেই বেকার অন্তত ১ লক্ষ শ্রমিক

বন্ধুত্বের বাহানায় বিপুল ক্ষতির মুখে গোটা দেশকে ঠেলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্পের বসানো শুল্কের...

ভয় পেয়েই কুকথা শান্তনুর! ফাঁস মতুয়াদের নিয়ে নোংরা রাজনীতি

মতুয়াদের নিয়ে রাজনীতি করতে মাঠে নেমেছিলেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে আধিপত্য কায়েমে বিজেপির নোংরা রাজনীতি দীর্ঘদিনের। ঠাকুরবাড়ির...

নীরবে প্রস্তুতি শামির, দলীপ দিয়েই কামব্যাকের লড়াই

কয়েকদিন আগে এশিয়া কাপের(Asia Cup) দল ঘোষণা হয়েছে। সেখানে সুযোগ পাননি মহম্মদ সামি(Mohammed Shami)। ভারতীয় দলে তিনি ফিরবেন...

রবি ঠাকুরের ‘কঙ্কাল’ থেকে ‘কনকচাপা’: পার্থর নাটক দেখতে ভিড় জিডি বিড়লা সভাঘরে

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য ভাণ্ডার অবলম্বনে একের পর এক নাটক তৈরি হয়েছে— শারদোৎসব, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, ফাল্গুনী, রক্তকরবী আজও...
Exit mobile version