বাংলা আজ যা ভাবে গোটা ভারত তা ভাবে কাল। এই স্বতঃসিদ্ধ বাক্যটি সম্প্রতি বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ফের একবার এই কথা প্রমাণ করে দিল মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) বিজেপি সরকার। যে পথে হাজার সমালোচনার সত্ত্বেও বাংলার দুর্গোৎসবকে বিশ্বমানের উৎসবে পরিণত করতে ক্লাবগুলিকে অনুদান দিয়ে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee), এবার সেই পথে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। গণেশ পুজোয় প্রথমবার মহারাষ্ট্রে ঘোষণা করা হল অনুদান (donation)। এবং এক্ষেত্রেও মহারাষ্ট্র সরকারের যুক্তি গণেশ উৎসব তাঁদের রাজ্যে একটি বড় শিল্প। তাই এই অনুদান।
২০১৮ সাল থেকে বাংলার দুর্গাপুজোর স্বীকৃততে ক্লাবগুলিকে অনুদান দিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্দেশ্য, দূর্গা পুজোকে ঘিরে উৎসব যত বড় হবে, তার অনুসারী শিল্প, ছোট ছোট শিল্পী থেকে ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বাড়বে। আখেরে উন্নতি হবে বাংলার অর্থনীতির। দুর্গাপুজো (Durgapuja) কমিটিগুলিকে এবছর ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার বিরুদ্ধে বাংলার বিজেপি নেতারা গেল গেল রব তুলে গোটা বাংলার মানুষকে খেপিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। অথচ এই বিজেপি নেতারাই দাবি করেন বাংলায় দুর্গাপূজা করতে দেয় না তৃণমূলের সরকার।
বঙ্গ বিজেপি নেতাদের দাবি কতটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তা প্রমাণ করে দিলেন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ। এবার মহারাষ্ট্রের ১,৮০০ ভজন মন্ডলের জন্য গণেশ পূজার অনুদান (donation) ঘোষণা করলেন তিনি। প্রতিটি মন্ডলকে ২৫ হাজার টাকা করে সরকারি অনুদান দেওয়া হবে। অনলাইনে অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে। মহারাষ্ট্র সরকার উৎসাহ দিয়েছে, যত বেশি সংখ্যক আবেদন আসবে তত তারা এই প্রকল্পের সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন, বলে।
আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলা: ইডির তল্লাশি বিধায়কের বাড়ি, আত্মীয়ের বাড়িতে
তবে মহারাষ্ট্র এই প্রথমবার নয়। এর আগেও বাঙলার প্রকল্পকে অনুসরণ করেছে। ২০২৪ সালে বিধানসভা নির্বাচন পার করতে দেবেন্দ্র ফাড়নবিশ ও একনাথ শিণ্ডে যৌথভাবে বাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে নকল করে লাডলি বহিন যোজনা আনেন। আর বিধানসভার বৈতরণী পার হতে সেই যোজনা যে বিরাট ভূমিকা নিয়েছিল, স্বীকার করেছে বিজেপি। তবে এবার যে দুর্গাপুজোর অনুদানে এতদিন প্রবল আপত্তি জানিয়ে এসেছে বঙ্গ বিজেপির শুভেন্দু-সুকান্ত, তাঁরা ফাড়নবিশের অনুদানে কী বলবেন, সেটাই শোনার অপেক্ষা।
–
–
–
–
–