চলতি সপ্তাহেই নতুন দিগন্ত খুলতে চলেছে দার্জিলিং পাহাড়ে। প্রথমবারের জন্য পাহাড় পাচ্ছে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে তাকদায় পথ চলা শুরু করছে দার্জিলিং হিল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। এর ফলে উত্তরবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা হবে বলেই মনে করছে প্রশাসন।
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) শিক্ষা দফতর ও ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের উদ্যোগে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দৈনন্দিন ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে ওড়িশা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন ট্রাস্ট। আর্থিক সহায়তা করেছে ন্যাশনাল হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে।
অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন অনুমোদিত এবং মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির আওতাধীন এই প্রতিষ্ঠান কার্যত পশ্চিমবঙ্গের প্রথম টেকনিক্যাল ডিগ্রি কলেজ, যা পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডেলে পরিচালিত হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন জিটিএর মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা। প্রশাসনের আশা, পাহাড়ের বহু ছাত্রছাত্রী যারা এতদিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনার জন্য সিলিগুড়ি বা কলকাতায় যেতে বাধ্য হতেন, তাঁরা এখন নিজস্ব অঞ্চলে থেকেই প্রযুক্তি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন। এতে শুধু উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নই হবে না, নতুন কর্মসংস্থানেরও সুযোগ তৈরি হবে।
তাকদায় এই নতুন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পাহাড়ের শিক্ষাক্ষেত্রের পাশাপাশি সমগ্র সমাজের উন্নয়নের এক নতুন প্রতীক হয়ে উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন – শ্রমশ্রী প্রকল্পে ভুয়ো আবেদন রুখতে কড়া নজরদারি রাজ্যের
_
_
_
_
_