ফের বড়সড় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখে ভূস্বর্গ। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীর জেলা বিধ্বস্ত হল ভয়াবহ হড়পা বানে। অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে বন্ধ হয়ে গিয়েছে জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। তাউই, রাভি, চেনাব নদীতে প্রবল জলস্ফীতি। হড়পা বানের (flash flood) কারণে ডোডা (Doda) জেলার সঙ্গে সব সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
আগেই জম্মু এলাকায় ভারী বৃষ্টির জেরে নদীগুলির জলস্ফীতি প্রশাসনকে চিন্তায় রেখেছিল। জম্মুর পাশাপাশি কাঠুয়া, সাম্বা, ডোডা, রমবান, কিস্তওয়ারে বন্যার সতর্কতা জারি হয়েছিল। জম্মুর সব স্কুলে আগে থেকেই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কাঠুয়ায় মোধোপুর বাঁধে জল বিপদসীমা অতিক্রম করে কার্যত উপচে পড়েছে। তাউই নদী (Tawi river) বিপদসীমার ২০ ফুট উপর দিয়ে বইছে। প্রতিটি নদী যেন বিধ্বংসী আকার নিয়ে বইছে। জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কের প্রায় ২৫০ কিমি এলাকা যাতায়াতের অযোগ্য বলে বন্ধ রাখা রয়েছে জাতীয় সড়ক।
এত বৃষ্টির পরে জম্মু এলাকায় মেঘ ভাঙা বৃষ্টিরও আশঙ্কা করছিল আবহাওয়া দফতর। তারই মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে ডোডায় (Doda) স্থানীয় একটি ঝর্ণায় হড়পা বান (flash flood) আসে। এলাকায় জনবসতি কম হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি কিছু কম হয়েছে। তবে ১০টির বেশি বাড়ি ভেসে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদিন ছুটি বৃষ্টির! তবুও থাকছে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস
কাশ্মীরে বৃষ্টি ও নদীর এই ভয়াবহ অবস্থার কারণে প্রভাব পড়েছে হিমাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকাতেও। হিমাচলের মানালিতেও হড়পা বানের খবর পাওয়া গিয়েছে। মাণ্ডি শহরের একটা বড় অংশ নদীর ক্ষয়কার্যের কারণে নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বিয়াস নদী বিপদসীমান ছাড়িয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।
–
–
–
–
–