মুম্বইয়ের লালবাগের রাজাকে (Lalbaugcha Raja) কে না চেনে। সারাবছর আখ্খা মুম্বইকর অপেক্ষা করেন তাঁর ঝলক দর্শনের জন্য। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই পুজো শুরুর আগে নেমেছে ভক্তের ঢল। ১২ থেকে ২০ ফুটের মধ্যে তৈরি হওয়া এই গণেশ প্রতিমা (Ganesh idol) কার্যত মুম্বইয়ের (Mumbai) একটি পরিচিতি হয়ে গিয়েছে। জনপ্রিয়তা এতটাই যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পেজ বানিয়ে আগে থেকে পুজো সংক্রান্ত সব প্রচার চালাতে হয় গোটা মহারাষ্ট্রকে জানানোর জন্য।

প্রতিমা তো বটেই, মণ্ডপ সজ্জাতেও লালবাগচা রাজাই মুম্বইয়ের সেরা পুজো। তাতে কোনও সন্দেহই নেই। তবে বাংলায় যেভাবে দুর্গাপুজো হয় সেভাবেই মুম্বইয়ে গণেশপুজো। দশদিনের উৎসব তো আর এক জায়গায় আটকে থাকতে পারে না। তাই বাণিজ্য নগরীর একাধিক জায়গায় গণেশ পুজো একাধিক কারণে ব্যাপক সংখ্যায় ভক্তকে আকর্ষণ করে। রেষারেষিও কম নেই, একেবারে কলকাতার দুর্গাপুজোর মণ্ডপের মতো।

মুম্বইয়ের সবথেকে সম্পদশালী পুজো জিএসবি সেবা মণ্ডলের (GSB Seva Mandal)। এখানে প্রতিমাকে সত্যিকারের সোনা ও রুপোর গয়নায় সাজানো হয়। মণ্ডল সজ্জায় থাকে সাবেকি সজ্জার ছোঁয়া।

প্রতিমার দৈর্ঘ্যে যেমন লালবাগচা (Lalbaugcha Raja) সবার আগে, তেমনই মণ্ডপের দৈর্ঘ্যে সবাইকে টেক্কা দেয় আন্ধেরিচা রাজা (Andhericha Raja) প্রতিমার মণ্ডপ। তবে এর প্রতিমা অন্য অনেকের থেকে ছোট হয়। সেই সঙ্গে পুজোর উপাচারের জন্য এই পুজো মুম্বইবাসীদের অত্যন্ত পছন্দের।

ভিন্ন ধরনের প্রতিমার জন্য বিখ্যাত খেতওয়াড়ি চা রাজা (Khetwadicha Raja)। প্রতিবারই এই প্রতিমায় থাকে চমক। পৌরাণিক কাহিনীকে প্রতিমাতেও তুলে ধরা হয়। এই প্রতিমাও উচ্চতায় যথেষ্ট বড় হয়। ফলে বিসর্জনে প্রায় ২০ ঘণ্টা সময় লাগে।

আরও পড়ুন: প্রাথমিক টেট-এর তথ্য ফাঁস হয়নি, বিভ্রান্তি কাটিয়ে জানালো পর্ষদ

পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পুজোগুলি হল গিরগাঁওচা রাজা, ছিঁচপোকলিচা রাজা, ফোর্টচা রাজা, গণেশ গলির মুম্বইচা রাজা। সব ক্ষেত্রেই বেশ কিছু বড় মিল রয়েছে। সর্বত্রই গণেশকে ভালোবাসার সঙ্গে এলাকার রাজা বলে তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে ১০ দিন জুড়ে মোদকের রমরমা সরবরাহ তো থাকেই। এবছর সব মণ্ডপই পাল্লা দিয়ে পুজো শুরু প্রায় তিনদিন আগে থেকে প্রতিমা উন্মোচন করে দিয়েছে। আর তা দেখতে পুজোর আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ভক্তদের ঢল নামা।

–

–

–
