রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রভোট করাতে চায় রাজ্য সরকার। ছাত্র সংসদের (Student Union) ভোটে কখনও বাধা দেয়নি রাজ্য। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলায় এই নিয়ে সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। ছাত্র ভোট নিয়ে বাম ছাত্র নেতার দাবি খারিজ করে কল্যাণ জানান, ২০১৩ সালে সার্কুলার প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই ভোট করতে আগ্রহ দেখায়নি।
রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ দিন ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। এই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। মামলা করেন সিপিএমের সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মামলাকারীর পক্ষে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। অভিযোগ করেন, রাজ্যই ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ রেখেছে। আর ভোট করানোর জন্য দায়বদ্ধ রাজ্যই। তাই ভোট না-হলে দায়বদ্ধ থাকতে হবে তাদেরই।
এর পাল্টা কল্যাণ জানান, দাবি, কলেজে নির্বাচনে (Student Union) কোনও বাধাই দেয়নি রাজ্য। বরং ২০১৩ সালে সার্কুলার প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। কিন্তু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই ভোট করতে আগ্রহ দেখায়নি। বিকাশরঞ্জন দাবি করেন, কোন কোন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি এমনটা করছে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে তথ্য দিক রাজ্য।
এর পরেই রাজ্যের প্রায় ৩৬৫টি কলেজ ও ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়কে মামলায় পক্ষ করার নির্দেশ দেয় বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ। ১০ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
আরও খবর: ‘জামাই আদর’ করে নিয়ে গিয়ে ভিনরাজ্যে বাংলার শ্রমিকদের হেনস্থা কেন? গর্জে উঠলেন মমতা
–
–
–
–
–
–