রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসায় ছাত্রছাত্রীদের জীবনকে অন্ধকারের দিকে ঠেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার, গান্ধী মূর্তির সামনে মেয়ো রোডে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশ মঞ্চ থেকে জয়েন্টের ফল প্রকাশের দেরি নিয়ে বিরোধীদের নিশানাক করলেন তৃণমূলের (TMC) সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে পড়ুয়া-গবেষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে সুর চড়ান দুজনেই।
প্রথমেই অভিষেক জানান, জয়েন্টের ফল (JEE) প্রকাশে বিলম্ব নিয়ে বিস্তারিত জানাবেন তৃণমূল নেত্রী। বিরোধীদের নিশানা করে অভিষেক বলেন, “দুঃখজনকভাবে রাজ্য সরকারের বিরোধিতা করতে গিয়ে এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে শিক্ষা দিতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারব্যবস্থার একাংশ বাংলা ছাত্র-যুব সমাজের জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল । কিন্তু আমরা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ পেয়েছি । শীর্ষ আদালতের অনুমতি পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে সরকার প্রক্রিয়া চালু করেছে ৷”
এর পরে বিরোধীদের বিঁধে মমতা বলেন, “যারা ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বড় বড় কথা বলে, নিয়োগে বাধা দেয়, ভর্তিতে বাধা দেয়— আমি দুঃখিত যে জয়েন্টের ফল প্রকাশে একটু দেরি হয়েছে। এর জন্য আমাদের দোষ নেই। কোর্টে কেস করে, এরা একসঙ্গে কেস কেস করে। আবার এসে আমাদের নামে নিন্দা করে। এরা দু’নম্বরি।”
বাংলার প্রতি বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, “গবেষকদের ইউজিসি গ্র্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে হঠাৎ করে গবেষকদের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সব জায়গায় তো আমাদের লোক থাকেন না। বিভিন্ন জায়গার লোক থাকেন। কেউ কেউ দুষ্টুমি করে, কেউ কেউ মিষ্টিমি করে। আমরা মিষ্টিমি করি, দুষ্টুমি করি না।”
পড়ুয়াদের জন্য উন্নয়ন প্রকল্পের খতিয়ান তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৩৮ লক্ষ ছাত্রছাত্রীকে সবুজসাথী প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ৫৩ লক্ষ পড়ুয়াকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে মোবাইল দেওয়া হয়েছে। ‘স্টুডেন্ট্স ক্রেডিট কার্ড’-এর আওতায় ৯২ হাজার ছাত্রছাত্রী সুবিধা পাচ্ছেন। পাশাপাশি সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের জন্য বৃত্তি দেওয়া হয়।
–
–
–
–
–