প্রথমে ভুয়ো ভোটার ঢুকিয়ে ভোট চুরি। ধরা পড়তেই সংশোধনের সান্ত্বনা। এবার ভোটচুরিতে নতুন কৌশল – এসআইআর (SIR)। তাতেও সব রকম কারচুপি সুপ্রিম কোর্টের সামনে ধরা পড়তেই পাঁকে পড়েছে বিজেপি। বাঁচার জন্য রাজ্যের বিজেপি নেত্রী এবার নির্বাচন কমিশন (ECI) দফতর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিলেন। ইংরেজবাজারের বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির (Sreerupa Mitra Chowdhury) ‘হুঁশিয়ারি’কে কৈকেয়ীর জটিলতা বলে কটাক্ষ তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের।

রাজ্যে ভোটার তালিকা নিবিড় সংশোধনী করতে যেখানে সব দলকে নিয়ে বৈঠক করে কর্মপদ্ধতি স্থির করা শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন, সেখানে আচমকাই এসআইআর আটকানোর ভুয়ো অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন দফতর ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা মালদহের ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরির। তিনি দাবি করেন, কেউ ভয় দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনের লোকেদের ভাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বা এসআইআর করতে না দিলে আমি নির্বাচন হতে দেব না। দিল্লি পর্যন্ত যাব। নির্বাচন কমিশনের সামনে গিয়ে দাঁড়াব, বলব এসআইআর করতে হবে।

আরও পড়ুন: এসএসসি মামলা: আদালতে আত্মসমর্পণ পরেশ ও অঙ্কিতার

তাঁর এই দাবিকে ফিল্মি ডায়লগ বলে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের। তিনি দাবি করেন, একজন বৈধ ভোটারকে আমরা হেনস্তার শিকার হতে দেব না। একজনও যদি হেনস্থার শিকার হন তাহলে বাংলার এক লক্ষ মানুষ নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করব। এই বার্তা খুব পরিস্কারভাবে দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি বিজেপি বিধায়ককে স্মরণ করিয়ে দেন, ভুয়ো ভোটার নিয়ে তো প্রথম প্রতিবাদ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Mamata Banerjee)। বিজেপির এসব ছলের খেলা ধরা পড়েছে বলেই তাঁদের দলের যারা কৈকেয়ী আছেন তাঁরা জটিলতা তৈরি করছেন।

–

–

–
–
–

–