গগণেন্দ্র প্রদর্শশালায় শুরু হল বাংলার মহিলাদের চিরাচরিত সুঁচ-সুতোর যাদুকরির নকশিকাঁথার প্রদর্শনী। বুধবার, এই প্রদর্শনীর (Exebition) উদ্বোধন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন (Indranil Sen) ও বীরবাহা হাঁসদা (Birbaha Hansa)। গ্রামবাংলার নকশি কাঁথার শিল্পীরা এই প্রদর্শনীতে এসেছেন। তবে, নজর কেড়েছেন বোলপুর থেকে আসা মমতাজ বিবির করা ওয়াল হ্যাঙ্গিং। কারণ, তাতে তিনি সুচিশিল্পে ফুটিয়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক প্রকল্প কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যুবশ্রী।

বাংলায় এমন অনেক হস্তশিল্প আছে,যা এক সময় অবলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার সেই নিজস্ব শিল্প-কৃষ্টিকে বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর উদ্যোগেই নবজীবন পেয়েছে অনেক শিল্প। মহিলাদের ক্ষমতায়ন ও স্বনির্ভরতার লক্ষ্যেও একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্প এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এদিন বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নকশি কাঁথা শিল্পী প্রদর্শনীতে এসেছেন। প্রদর্শনী (Exebition) উদ্বোধনের পরে ঘুরে দেখেন দুই মন্ত্রী। নজর কাড়ে মমতাজ বিবির করা ওয়াল হ্যাঙ্গিং। তাতে তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নমূলক প্রকল্প কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, যুবশ্রী। রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিরাচরিত ভঙ্গির ছবিও।

ইন্দ্রনীল জানান, বাংলা যে শিল্পগুলি অবলুপ্তির পথে চলে গিয়েছিল, ক্ষমতায় আসার পরে সেগুলির পুনরোজ্জীবন দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর প্রতি বছর এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে। প্রায় কয়েক লক্ষ টাকার কেনাবেচা হয়। এর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের পরিচয় হয় বাংলার অস্মিতা, সংস্কৃতি, শিল্পের সঙ্গে। ইন্দ্রনীলের কথায়, এখানে যে যাঁরা আসেন তাঁরা আন্তর্জাতিক মানের শিল্পী।

বীরবাহা হাঁসদা বলেন, মহিলাদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর ঠিক আগে এই প্রদর্শনীর ভাবনা প্রশংসনীয়। একজন মহিলা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। ৭ তারিখ পর্যন্ত চলবে এই প্রদর্শনী। খোলা থাকবে দুপুর দুটো থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
