রবিবার মধ্যরাত থেকে একাধিক ভূমিকম্প। রুক্ষ পাহাড়ে ঘেরা আফগানিস্তানে মৃত্যুর মিছিল। পাঁচ দিন পরেও ঘরে ফেরার পথ ধরতে পারেনি আফগানরা। তারই মধ্যে প্রবল আফটার শকে (after shock) ফের কেঁপে উঠল মধ্য এশিয়ার দেশ। যদিও নতুন করে কারো মৃত্যু হয়নি বলেই দাবি আফগান (Afganistan) প্রশাসনের।

বৃহস্পতিবার মধ্যরাত ও শুক্রবার সকালে দুটি প্রবল আফটার শক কাঁপিয়ে দেয় আফগানিস্তানের মাটি। এবারেও উৎসস্থল সেই নানগড়হর প্রদেশেই। এবারে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পাঁচ বার আফটার শক (after shock) অনুভূত হয়, যার কম্পন টের পাওয়া যায় আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদেও। মোট ১৩ জনকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। আহতদের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: একজোট ভারত-রাশিয়া-চিন: গভীর হতাশা ট্রাম্পের, মন্তব্যে নারাজ বিদেশমন্ত্রক

ইতিমধ্যেই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে অন্তত ২,২০০ মানুষের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে তালিবান প্রশাসন। সেই ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নতুন করে কবে কুনার, নানগড়হর এলাকায় নতুন করে বসতি গড়ে তোলা সম্ভব হবে তা নিয়ে এখনও সদুত্তর নেই তালিবান প্রশাসনের কাছে। কম্পনে ভেঙে যাওয়া রাস্তা দিয়ে ত্রাণ পৌঁছানোও হয়েছে মুশকিল। অন্যদিকে পাথর ও শুকনো পাথুরে জমিতে তৈরি বাড়িতে আর ফিরে যেতেও ভয় পাচ্ছেন ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকার মানুষ। তারই মধ্যে আবার আফটার শক নতুন করে আশঙ্কা বাড়াচ্ছে বাসিন্দাদের।

–

–

–
–
–

–