হুগলির সিঙ্গুরে টাটাদের ন্যানো গাড়ির কারখানা চলে যাওয়া নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয় বাংলার রাজ্য রাজনীতিতে। এবার সেই হুগলি থেকে একলাখি গাড়ি উৎপাদনের ঘোষণা হল। শনিবার, হুগলির সুগন্ধা কারখানায় ইলেকট্রিক টোটো উদ্বোধনের মঞ্চ থেকেই এই চমক। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) প্রস্তাবকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করেন সুগন্ধার মালিক শান্তনু ঘোষ (Shantanu Ghosh)। বলেন, এই হুগলির কারখানা থেকেই উৎপাদন হবে একলাখ টাকা দামের ইলেকট্রিক গাড়ি (Car)। কবে? কুণালের প্রশ্নে শান্তনুর জবাব, লুক প্রকাশ হবে কালীপুজোর পরেই। আরও এক ধাপ এগিয়ে তখন কুণাল গাড়ি উৎপাদনের দিন জানতে চান। প্রস্তাব দেন, আগামী বছর জানুয়ারিতে গাড়ি আনতে হবে বাজারে। সেই প্রস্তাবও লুফে নেন সুগন্ধার মালিক। পাশাপাশি এদিন এই মঞ্চ থেকে উদ্বোধন হয় তিনচাকার ইলেকট্রিক টোটোর।

হুগলি (Hooghly) থেকে একদিন ন্যানোর কারখানা গুটিয়ে চলে গিয়েছিল টাটারা। শিল্প বিরোধিতার দাগ লেগেছিল সেই সময়ের বিরোধীদল তৃণমূলের গায়ে। পরে অনেকবারই শাসকদলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে, তারা শিল্প বিরোধী নয়। কিন্তু দো ফসলি বা তিন ফসলি জমির চরিত্র পরিবর্তন, জোর করে জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিল। তার পর হুগলি নদী দিয়ে অনেক জন বয়ে গিয়েছে। চতুর্থবার মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার জন্য আগামী বছর লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই চমক। সেই হুগলিতেই তৈরি হবে এক লাখি গাড়ি।

কুণালের কথায় জ্বালানির যা দাম, ইলেকট্রিক গাড়ি হলেই মধ্যবিত্তের সুবিধা। সেই মতো ফোর সিটার গাড়ি আনবে সুগন্ধা। শান্তনু ঘোষ (Shantanu Ghosh) জানান, আগেই কুণালের থেকে এই প্রস্তাব পেয়ে, কাজ কিছুটা এগিয়েছেন তিনি। কালীপুজোর পরেই হবে লুক প্রকাশ।

আগামী বছরের প্রথমে গাড়ি বাজারে আনার কুণালের প্রস্তাবও চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেন সুগন্ধার মালিক। জানান তাঁরা আনার চেষ্টা করবেন। শান্তনুর পাশাপাশি সুগন্ধার দুই কর্ণধার সাম্রাজ্ঞী ও সম্পূর্ণার ভূয়সী প্রশংসা করেন কুণাল। যে হুগলির গায়ে একদিন পড়েছিল শিল্প বিরোধিতার তকমা, পুজোর গন্ধে সেই দাগ মুছল সুগন্ধা।
