বিএসএফ-এর সহযোগিতায় গা-ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করেও লাভ হল না। অবশেষে রাজ্য পুলিশের জালে নদিয়ায় কলেজ ছাত্রী খুনে অভিযুক্ত দেশরাজ সিংয়ের বাবা রঘুবিন্দ সিং। রাজস্থানের (Rajasthan) জয়সলমের থেকে তাকে গ্রেফতার করে কৃষ্ণনগর পুলিশ (Krishnanagar Police)। ঈশিতাকে খুন করে প্রথমে উত্তরপ্রদেশ ও পরে নেপালে (Nepal) পালিয়ে যেতে বাবাই সবথেকে বেশি সাহায্য করেছিল দেশরাজকে, উঠে এসেছে পুলিশি তদন্তে।

নদিয়ার কৃষ্ণনগরের কলেজ পড়ুয়া ঈশিতা মল্লিকের খুনের ঘটনায় গত রবিবার অভিযুক্ত দেশরাজকে নেপাল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার আগের দিন উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দেশরাজের মামাকে। মামার মোবাইল থেকে দেশরাজকে নকল পরিচয় পত্র তৈরি করে দিয়ে নেপালে পালিয়ে যেতে সাহায্য করার প্রমাণ পেয়েছিল পুলিশ। সেই সূত্রেই গ্রেফতার হয় দেশরাজ। কৃষ্ণনগরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে (Amarnath K) জানিয়েছিলেন, রাজস্থান থেকে দেশরাজের বাবা রঘুবিন্দকে রাজ্যে আনার তোড়জোড় করছে রাজ্য পুলিশ।

দেশরাজের বাবা রঘুবিন্দ বিএসএফ-এ কর্মরত। রাজস্থানের জয়সলমেরে বিএফএফে পোস্টিং ছিল তার। রাজ্যের পুলিশ গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে গেলেও গ্রেফতারিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিএসএফ। জয়সলমেরের (Jaisalmerh) বিএসএফের বাধায় গ্রেফতার করা যাচ্ছিল না। এই রঘুবিন্দ পুলিশকে জানিয়েছিল খুনের ঘটনার পরে দেশরাজের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়নি। আদতে তিনিই ট্রেনের টিকিট থেকে নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে পালাতে সাহায্য করেছিলেন দেশরাজকে। তবে গ্রেফতার করে রাজস্থান থেকে বাংলায় আনতে না পারলেও জয়সলমেরেই হাউস অ্যারেস্ট করে রাখা হয় রঘুবিন্দকে।

আরও পড়ুন: শ্বাসরোধ করেই খুন! তেহট্টের শিশুমৃত্যু, গণপিটুনিতে গ্রেফতার ৪

অবশেষে বিএসএফ-এর (BSF) বাধা কাটিয়ে রবিবার রঘুবিন্দ সিংকে গ্রেফতার করল কৃষ্ণনগর পুলিশ। তবে বিএসএফের বাধায় সাতদিন লেগে গেল তাকে রাজ্যে নিয়ে আসার প্রক্রিয়ায়। সেই সঙ্গে সাতদিন দেরি হয়ে গেল ঈশিতা মল্লিকের খুনের তদন্তেও। সোমবার তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনা হবে কৃষ্ণনগরে।

–

–
–
–

–