তারিখ পে তারিখ পেরিয়ে অবশেষে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) মামলার শুনানি পর্ব শেষ সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। রায়দান স্থগিত রাখল আদালত। সোমবার, শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চ দুই সপ্তাহের মধ্যে দু’পক্ষকে লিখিত বয়ান আদালতে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তার পরেই চূড়ান্ত রায়দানের সম্ভাবনা।

কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে মামলা করেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। ২০২২-এ কলকাতা হাইকোর্ট জানায়, ডিএ সরকারি কর্মীদের অধিকার। কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে হবে রাজ্যকেও। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেইসময় শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, অন্তত ২৫ শতাংশ বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। ইতিমধ্যে সেই সময়সীমাও পেরিয়ে গিয়েছে।

রাজ্য সরকারের পক্ষে জানানো হয়, বকেয়া ডিএ-র সঠিক অঙ্ক নির্ধারণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কার কত টাকা আদতে প্রাপ্য, তার হিসেব কষতে আরও সময় প্রয়োজন। সোমবার শীর্ষ আদালতের শুনানিতে রাজ্য সরকারের তরফে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিবাল আবারও দাবি করেন, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে রাজ্য সরকারকে বাধ্য করা যায় না৷ একইসঙ্গে তাঁর সওয়াল, শীর্ষ আদালত ডিএ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত জানাবে, তা মানতে হবে সব রাজ্যকে৷ রাজ্য তাদের মত করে ডিএ দিতেই পারে৷ কেন্দ্র তার মত করে দেবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলির উপরে ডিএ দেওয়া নিয়ে কোনও শর্ত চাপাতে পারে না৷ ডিএ দেওয়ার আগে কস্ট অফ লিভিং মাথায় রাখতে হবে৷ এটা শুধু আর্থিক সক্ষমতার বিচার্য বিষয় নয়৷ কিন্তু শীর্ষ আদালতের স্পষ্ট প্রশ্ন, “রাজ্যের বাইরে কর্মরত পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মীরা যদি কেন্দ্রীয় হারে ডিএ (Dearness Allowance) পান, তবে বাংলার কর্মীরা বঞ্চিত হবেন কেন?”

যুক্তি পাল্টা যুক্তিতে শুনানি শেষ হয়েছে। আপাতত রায় রিজার্ভ রাখা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী পরিষদের কার্যকারী সভাপতি সঞ্জীব পাল বলেন, “অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে।“ আদালত সূত্রের খবর, অক্টোবরের শুরুতেই রায় ঘোষণার সম্ভাবনা।
