জলপাইগুড়ির এবিপিসি ময়দান থেকে ঐতিহাসিক দেবী চৌধুরানী মন্দিরের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে আপ্লুত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র। কিন্তু কেন? বঙ্কিমচন্দ্রের দেবী চৌধুরানী উপন্যাসকে কেন্দ্র করে এই বছর দুর্গাপূজায় মুক্তি পেতে চলেছে প্রসেনজিৎ-শ্রাবন্তীর ‘দেবী চৌধুরানী’। ছবির প্রচারে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন শিল্পীরা। এর মধ্যেই বড়পর্দায় ‘দেবী চৌধুরানী’ মুক্তি পাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে সিনে মহল মনে করছে এটা শুধু সিনেমার জয় সেটা একেবারেই নয়, এই জয় গোটা বাঙালি জাতির।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে মন্দিরটি আগুনে পুড়ে যায় তারপর ২০২২ সালে নতুন করে মন্দিরটি সংস্কার করা হয়। দেবী চৌধুরানী এবং ভবানী পাঠকের মূর্তি বসানো হয়। সেই সময়েও মন্দিরটি সংস্কার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই খবর শুনে তাঁর ভীষণ ভাল লাগছে, গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠছে। এর থেকে ভাল খবর আর কিছু হতে পারে না। ইতিহাসকে সামনে থেকে দেখার আনন্দ অন্যরকম।

পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্র জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গে এরকম একটি মন্দির আছে তিনি জানতেন এবং একবার নিজেও এই মন্দিরটি দেখতে যান। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর একবার মন্দিরে পুজো দিয়ে আসবেন সেই কথাও জানান তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই পদক্ষেপে যে ভীষণ ভাল লাগছে সেই কথাও স্পষ্ট করে দেন।

প্রসঙ্গত, মন্দিরে পুজো দেওয়ার ইচ্ছে আছে শ্রাবন্তীরও এবং তিনি জানান তাঁর একার নয়, সকলেরই মন্দিরে পুজো দেওয়ার ইচ্ছে আছে। আগামী দিনে সবাই মিলে পুজো দিতে যাবেন সেই কথাও জানালেন। আবেগঘন হয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগে ভীষণ খুশি তিনি। উত্তরবঙ্গ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে ভবানী পাঠকের নামেও একটি মন্দির রয়েছে। তবে যত্নের অভাবে জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে এই মন্দিরটি নিজের দায়িত্বে সংস্কার করার কথা জানান প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন- বিধানসভা ভোটের আগে নির্বাচন দফতরে শূন্যপদ পূরণে উদ্যোগ রাজ্যের

_

_

_

_

_
_