ফের পড়ুয়া মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University)। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চার নম্বর গেটের কাছের ঝিলপাড় যখন তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়, তখন ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের অনামিকা মণ্ডল (Anamika Mandol) না কি তিনি মত্ত অবস্থায় ছিলেন। বৃহস্পতিবার, গভীর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কী ভাবে মৃত্যু? সেই নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বিশেষ বন্ধু অত্রি ভট্টাচার্যের।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) চার নম্বর গেটের কাছের ঝিলপাড় থেকে বৃহস্পতিবার, গভীর রাতে অচৈতন্য অবস্থায় অনামিকাকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কেপিসি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। রাতেই দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তে। সূত্রের খবর, মত্ত ছিলেন ওই ছাত্রী। কিন্তু সেই কথা মানতেই পারছেন না তাঁর পাড়া নিমতার ললিত গুপ্ত স্ট্রিটের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, “ও খুবই শান্ত আর মেধাবী। ও মদ্যপ ছিল এটা মানতে পারছি না।” পাড়ার শান্ত মিষ্টুকে বরাবর শান্ত বলেই জানেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের কথায়, ”আমরাও ওকে খুব ভালোবাসি। বরাবরই হাসিখুশি। দেখা হলেই কথা বলত। ছোটো থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো। ওর এমন পরিণতি হতে পারে স্বপ্নেও ভাবিনি। কিছু বুঝতে পারছি না।” অনামিকার দেদার মদ্যপানের তত্ত্ব মানতে নারাজ প্রতিবেশীরা। উল্টে যাদবপুরের নিরাপত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।

এদিকে, অনামিকার মৃত্যুর পরে সোশাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূ্র্ণ পোস্ট করেন অত্রি। লেখেন, ”আমার ভালবাসায় নিশ্চয়ই কোন খামতি ছিল। আমার পূর্বজন্মের নিশ্চয়ই ছিল কোনও পাপ। তাই শুধু আমাকে না, সকলকে ছেড়ে চলে গেলি। আর কোনও কথা নেই। রাগ নেই। হেসেও উঠবি না আর। আমাকে এই নরক থেকে নিয়ে যেতে পারতিস মিষ্টু।”

শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্য অমিতাভ দত্ত বলেন, “সিসিটিভি বিষয়ে রাজ্যকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আমারা সীমিত সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী দিয়ে কাজ করছি। গতকাল রাতে পেট্রোলিং দল ছিল৷ কিন্তু হতে পারে সেই সময় ওই স্থানে ছিল না। এখন সব থেকে বড় সমস্যা নিরাপত্তারক্ষীর অভাব। আশা করব শীঘ্রই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য যোগদান করবেন। তাহলে যেসমস্ত শূন্যপদ আছে, সেইগুলো দ্রুত পূরণের জন্য পদক্ষেপ করা হবে। সরকারের সঙ্গে আমারও বেশি করে নিরাপত্তার জন্য কথা বলব।”

এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে সুপ্রিম কোর্টের তৈরি করা ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নতি তাদের লক্ষ্য। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে তারা কথা বলে। প্রথম দফার বৈঠকে ৬০ জন পড়ুয়াকে ডাকা হয়। সূত্রের খবর, বৈঠকে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পড়ুয়ারা।

–

–

–

–

–