উন্নয়নের ছাপ চাই ভোটবাক্সে। সপ্তাহে কাজের প্রথমদিনই ফের জোড়া বৈঠক করে এই বার্তাই দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার প্রথমে পুরুলিয়া (Purulia) ও দ্বিতীয় দফায় বীরভূমের (Birbhum) কোর কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও (Subrata Bakshi)।

পুরুলিয়ায় দলের ফলাফল বিশ্লেষণ করে জেলা নেতৃত্বকে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, অঙ্কের হিসাবে দল পিছিয়ে রয়েছে পুরুলিয়ায়। কিন্তু মানুষ পরিষ্কারভাবে তৃণমূলের পক্ষে। তবে ভোটের বাক্সে এর প্রতিফলন নেই কেন! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সরকার রাজ্যের সর্বত্র উন্নয়ন করেছে। যেখানে দল জেতেনি সেখানেও করেছে। তার পরেও ফলাফল এরকম কেন? জানতে চান অভিষেক। জেলার শীর্ষ নেতাদের এর কারণ খুঁজে বার করে মানুষকে নিয়ে এগিয়ে চলার নির্দেশ দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত বেশ কয়েকটি নির্বাচনে পুরুলিয়ায় ভাল ফল হয়নি কারও দলের। যাদের ভাল ফল হয়েছে, সেই বিজেপির আবার আশি শতাংশ বুথে কর্মীই নেই! তাতে স্পষ্ট নিজেদের মধ্যে সঠিক সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। গত বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়ার ৯টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জয় পেয়েছিল দল। লোকসভাতেও পরাজয় হয়েছে।

পুরুলিয়া জেলা সভাপতি রাজীবলোচন সোরেন বলেন, সাংগঠনিক দুর্বলতা হয়তো ছিল। অন্য সমস্যাগুলিও দেখছে দল। আমরা সকলেই তৃণমূল কর্মী। তাহলে এমন দুর্বলতা থাকতে পারে না। সংগঠনকে সক্রিয় করতে এবার আরও তৎপর হচ্ছেন শীর্ষ নেতৃত্ব।

এদিন বৈঠকে অভিষেক (Abhishek Banerjee) একদিকে যেমন পুরোনো কর্মীদের সক্রিয় করতে বলেন, অন্যদিকে তেমনই তরুণদের গুরুত্ব দিতে বলেন। সকলে তৃণমূল, সকলে কর্মী, কেউ নেতা নন, এই মন্ত্রে দলকে নতুন উদ্যম নিতে বলেন তিনি। একইসঙ্গে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক প্রচারে জোর, বুথে বুথে মানুষের কাছে যাওয়া, নিবিড় জনসংযোগ-সহ একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন। টাউন-ব্লক সভাপতি পরিবর্তন ও পরিমার্জনের ক্ষেত্রে দীর্ঘ আলোচনা হলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দল। সভায় ছিলেন জেলা চেয়ারম্যান শান্তিরাম মাহতো, সভাপতি রাজীবলোচন সরেন, আইএনটিটিইউসি সভাপতি উজ্জ্বল কুমার, যুব সভাপতি গৌরব সিং, মহিলা সভানেত্রী মিনু বাউরি। আহ্বায়ক অনুব্রত মণ্ডল ও বীরভূমের কোর কমিটির সদস্যরা ছিলেন দ্বিতীয় দফার বৈঠকে।

–

–

–

–

–

–