বাংলায় তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাঁতিদের আর্থিক উন্নয়নের কথা ভেবে ও তাঁতশিল্পকে আরও চাঙ্গা করতে উন্নয়নমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য। গুণগত মান ও উন্নত ডিজাইনের জামদানি, টাঙ্গাইলের মতো শাড়ি তাঁতিদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে কেনার পর সেগুলি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তন্তুজের শোরুমগুলি থেকে তা বিক্রি করা হয়। জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে তন্তুজ (tantuja saree)। ২০২৩ সালে স্কচ অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছে। Tantuja ওয়েবসাইট বা তাদের বিভিন্ন শোরুম থেকে সরাসরি তন্তুজ পণ্য কেনা যেতে পারে। যত দিন যাচ্ছে বাড়ছে তন্তুজ শাড়ির চাহিদা। মানুষ পরতে পছন্দ করছে।

আরও পড়ুন-৯৬ বছরের ‘বোরোলিন’কে থামাতে পারেনি কেউ! বিদেশেও চাহিদা মাত্রাছাড়া

তন্তুজ শাড়ি কী?
এই শাড়ি তৈরিতে সুতি ও সিল্ক সুতো মিক্স করে তৈরি করা হয়ে থাকে। আর এই শাড়ি নকশা সবসময় একটু ব্যতিক্রম হয় অন্য শাড়ির চেয়ে।

তন্তুজ কী
তন্তুজ (tantuja saree) হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি উদ্যোগ, যা প্রাথমিক সমবায় তাঁতিদের প্রতিনিধিত্ব করে। তাদের তৈরি তাঁতজাত পণ্যের বিপণন ও বিক্রয়ের জন্য ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বালুচরি, জামদানি, টাঙ্গাইল, ধনেখালী এবং অন্যান্য ধরনের শাড়ি ও তাঁতজাত পোশাক সরবরাহ করে।

আরও পড়ুন- অসম্ভব কিছুই নয়! অ্যাডিডাস লোগোর সাফল্যের রহস্য কী

কেন বাড়ছে বিক্রি?
তন্তুজের মেদিনীপুর কাউন্টারের ম্যানেজার অসিতবরণ গঙ্গোপাধ্যায়ের জানিয়েছিলেন, “এখন ব্যবসায়িক মানসিকতা তৈরি হয়েছে। বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিতে পোশাকের ডিজাইন আধুনিক করা হচ্ছে। রেডিমেড পাঞ্জাবি, ফতুয়া থেকে শার্ট, সবই মিলছে।” অসিতবাবুর আরও সংযোজন, “আগে এই কাউন্টার ভর্তুকিতেই চলত। এখন আমরা নিজেদের মাইনে, বাড়ি ভাড়া মিটিয়েও সরকারকে লভ্যাংশ দিই।”

আরও পড়ুন- অসম্ভব কিছুই নয়! অ্যাডিডাস লোগোর সাফল্যের রহস্য কী

পণ্য সম্ভার:
বিভিন্ন ধরনের তাঁতের শাড়ি, যেমন বালুচরী, জামদানি, টাঙ্গাইল, ধনেখালী, এবং অন্যান্য তাঁতজাত সামগ্রী, যেমন ধুতি, লুঙ্গি, বিছানার চাদর, তোয়ালে ইত্যাদি।


