রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন দিশা। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) হাত ধরে যাত্রা শুরু করল SSKM-এর নতুন উডবার্ন ওয়ার্ড ‘অনন্য’। যেখানে চিকিৎসা পরিষেবা এক সময় শুধুমাত্র ভিভিআইপিদের কুক্ষিগত ছিল, মা মাটি মানুষের সরকারের হাত ধরে এবার তা চলে এলো সাধারণ মানুষের নাগালে। এদিন এসএসকেএম হাসপাতাল (Hospital) চত্বরে নবনির্মিত ‘উডর্বান-২ অনন্য’ ভবনের উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, নতুন এই ওয়ার্ডের আধুনিক পরিষেবা যে কোনও কর্পোরেট হাসপাতালের সঙ্গে পাল্লা দেবে, তবে খরচ হবে অনেক কম। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে দফতর সিঙ্গল কেবিনের ভাড়া কমেছে ২ হাজার টাকা।
একনজরে SSKM-র দ্বিতীয় উডবার্ন ব্লক ‘অনন্য’-এর খরচ
সিঙ্গল কেবিন – ৫০০০ টাকা
স্যু ইট – ৮০০০ টাকা
এইচডিইউ -১২০০০ টাকা
আইটিইউ- ১৫০০০ টাকা

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যে মানের পরিষেবা এখানে রোগীরা পাবেন তাতে এই টাকা ভাড়া নেওয়ার পরেও সব খরচ উঠবে না। আপনারা কাজ শুরু করুন, পরে আমরা আবার বিষয়টি খতিয়ে দেখব৷ এই কাজে ৬৭ কোটি খরচ হয়েছে। নবান্নের সাথে মিলিয়ে নাম রাখা হয়েছে অনন্য। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে এখানে রোবোটিক সার্জারি করা হবে। রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে যা প্রথম। পূর্ব ভারতের প্রথম বোন ব্যাংক হচ্ছে। কর্ড ব্লাড ব্যাংক করা হচ্ছে যা অনেক রোগ সারিয়ে দেবে।“

এদিন এই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে রয়েছে ২৫.৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে কলকাতা পুলিশ হাসপাতালের নতুন ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক। ২৪.৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে লি রোডে নির্মিত সাততলা ছাত্রাবাস। ৭.৬৪ কোটি টাকা ব্যয়ে রেডিওলজি বিভাগে বসানো হয়েছে অত্যাধুনিক ১২৮ স্লাইস সিটি স্ক্যান মেশিন। ৭.৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পূর্ণ রোবোটিক সার্জিক্যাল সিস্টেম। এছাড়া নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউটের অপারেশন থিয়েটার সংস্কার, স্বাস্থ্য ভবনের নতুন অ্যানেক্স–১ যার ব্যয় ১৬ কোটি টাকা এবং ৩২.৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ড্রাগ কন্ট্রোল অধিদফতরের আধুনিক ভবনও এদিন চালু হয়।

মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নই সরকারের অগ্রাধিকার। সাধারণ মানুষের চিকিৎসা যাতে আধুনিক, দ্রুত ও সুলভ হয়, সেই লক্ষ্যেই এই প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন পরিষেবাগুলি চালু হলে সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় বড়সড় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং সরকারি হাসপাতালের উপর মানুষের আস্থা আরও বাড়বে।

–

–

–

–

–

–