দেশজুড়ে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। পশ্চিমবঙ্গেও সেই প্রস্তুতি তুঙ্গে, তবে এর মধ্যেই বড় সমস্যার মুখে পড়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (সিইও) দফতর। প্রয়োজনীয় সংখ্যক বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) নিয়োগ করা কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।

বর্তমানে রাজ্যে বুথ সংখ্যা ৮০,৬৮১। পুনর্গঠনের পর আরও প্রায় ১৩,৮১৭ বুথ যুক্ত হতে পারে। অর্থাৎ প্রায় ৯৫ হাজার বুথের জন্য সমসংখ্যক কর্মী প্রয়োজন। কিন্তু শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে এই বিপুল প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা সম্ভব নয়।

নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে, ঠিকাদার কর্মীকে বিএলও হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। সরকারি কর্মী, শিক্ষক, অঙ্গনওয়াড়ি বা সরকারি তহবিল থেকে বেতন পাওয়া কর্মীদেরই কাজে লাগানো যাবে। বিশেষ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও কমিশনের অনুমতি নিয়ে নিযুক্ত করা যেতে পারে।

এই অবস্থায় সিইও দফতর আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বুথ লেভেল অফিসারের দায়িত্বে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেছে। অনুমান করা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় মোট কর্মীর প্রায় এক চতুর্থাংশই আসতে পারে এই শ্রেণি থেকে। তবে ঘরে ঘরে গিয়ে তালিকা সংশোধনের কাজ করার সময় তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে যথেষ্ট উদ্বেগ রয়েছে।

একই সঙ্গে কমিশনের নির্দেশে এনআইসির মাধ্যমে প্রায় আটশো ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এবং হাজার হাজার চুক্তিভিত্তিক কর্মীর চাহিদাও জানিয়েছে রাজ্যের সিইও অফিস। কিন্তু বুথভিত্তিক মাঠকর্মী নিয়োগের সমস্যাই যে এখন সবচেয়ে বড় বাধা, তা স্পষ্ট। ফলে কমিশনের বিকল্প নির্দেশ মেনে আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের উপর ভরসা করেই বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য।

আরও পড়ুন – ভোগ, ভক্তি আর মিলনের আবহ: বিশ্বকর্মা পূজায় জমজমাট কেএসি দাস

_

_

_

_
_