খুন হয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়া। মৃতার বাবা-মায়ের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্তে কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Jadavpur University) কলকাতা পুলিশের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেছে। মঙ্গলবার গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা যান তদন্তে। এরপরই বুধবার লালবাজারে (Lalbajar) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হল ঘটনার সময়ে ও সদ্য পরবর্তীতে উপস্থিত ছয়জনকে।

মঙ্গলবার কলকাতা পুলিশের একাধিক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা। নিরাপত্তা রক্ষীসহ মৃতা পড়ুয়ার সহপাঠীদের সঙ্গে কথা বলেন আধিকারিকরা। উঠে আসে, উইনিয়ন রুম লাগোয়া শৌচাগারে সেদিন গিয়েছিলেন অনামিকা মণ্ডল। তারপর তাঁকে আর কেউ ফিরে আসতে দেখেননি। এরপর তিন পডুয়া ইউনিয়ন রুমের পাশে ঝিলের দিকে গিয়ে চিৎকার করেন। তাঁদের চিৎকার শুনে অন্যান্য পড়ুয়ারা সেখানে ছুটে যান।

এরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীকে ডেকে আনেন কিছু পড়ুয়া। নিরাপত্তা কর্মী (security guard) জানিয়েছিলেন, তিনি পৌঁছানোর মধ্যেই কিছু পড়ুয়া জলে নেমে গিয়েছিল অনামিকাকে উদ্ধার করতে। এরপর তাঁকে জল থেকে তুলে সিপিআর দেওয়ার চেষ্টা হয়। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার জিজ্ঞাসাবাদে যে ব্যক্তিদের সেই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিতির সূত্র পায় পুলিশ তাঁদের মধ্যেই ছয়জনকে বুধবার ডেকে পাঠানো হয় লালবাজারে (Lalbajar)।

আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পুজোয় মর্মান্তিক মৃত্যু! চিনা মাঞ্জায় গলা কাটল প্রাক্তন সেনাকর্মীর

এর আগেও মৃতা পড়ুয়া অনামিকার সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তবে বাবা-মা খুনের অভিযোগ দায়ের করার পরে বিশেষ কতগুলি দিক অভিযোগে গুরুত্ব পেয়েছে। সেই মতো নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে এসবের মাঝে একটি প্রশ্ন যাদবপুরের ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা করছেই, সেটা পর্যাপ্ত সিসিটিভি-র প্রশ্ন। প্রতিবছর পড়ুয়াদের রহস্যমৃত্যুর পরেও কর্তৃপক্ষ এখনও সিসিটিভি (CCTV) লাগানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। তবে ঝিলে মর্মান্তিক মৃত্যুর পরে সেই সব এলাকায় ঝোপঝাড় পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ।

–

–

–

–

–