পর্যটনের পরে এবার লজিস্টিক খাতকে শিল্পের মর্যাদা দিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবে সবুজ সংকেত মিলেছে। সরকারের দাবি, এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যে একদিকে যেমন বিনিয়োগ বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হবে।

বর্তমানে অনলাইন কেনাকাটার প্রসার ও উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসাবে পশ্চিমবঙ্গের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব লজিস্টিক খাতকে বিশেষ মাত্রা এনে দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ফ্লিপকার্ট হরিণঘাটায় বিশাল লজিস্টিক হাব তৈরি করেছে। হুগলিতে বিনিয়োগ করেছে আমাজন। কলকাতাও দ্রুত দেশের অন্যতম বড় লজিস্টিক কেন্দ্র হিসেবে উঠে আসছে।

প্রশাসনের মতে, লজিস্টিককে শিল্পের মর্যাদা দেওয়ায় বিনিয়োগকারীরা সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ পাবেন। পাশাপাশি সরকারি নীতি ও সুবিধাগুলিও সরাসরি প্রযোজ্য হবে। উল্লেখযোগ্য, ২০২৩ সালে রাজ্য সরকার আলাদা লজিস্টিক নীতি তৈরি করেছিল। এদিনের সিদ্ধান্তে সেই খাত আরও গতি পাবে বলে আশা প্রশাসনের।

শুধু লজিস্টিক নয়, এদিনের বৈঠকে আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাজপুর–ডানকুনি–রঘুনাথপুর অর্থনৈতিক করিডরের জন্য শিল্প উন্নয়ন নিগমকে দেওয়া হচ্ছে ২০০ একর জমি। একইসঙ্গে নিউ টাউন কলকাতা উন্নয়ন সংস্থায় ১৫টি নতুন পদ সৃষ্টির অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিনের সিদ্ধান্তগুলি রাজ্যের শিল্প বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।

আরও পড়ুন- দৃষ্টিহীনদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ! বিধানসভা গ্রন্থাগারে সংবিধানের ব্রেইল সংস্করণ

_

_

_

_

_
_