যাদবপুরে ছাত্র ফেডারেশনের নেতার বিরুদ্ধেই শ্লীলতাহানির অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস ইউনিটের সহ সম্পাদক সৌমিক মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। মূল অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সংগঠনের। শান্তিনিকেতনে একটি শিক্ষামূলক ভ্রমণে যাওয়ার পরেই ঘটনাটি ঘটে।

যাদবপুরে বর্তমান পরিস্থিতির আবহাওয়ায় নিজেদের পিঠ বাঁচাতে ছাত্র ফেডারেশন তাঁকে সংগঠন থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। প্রশ্ন হল, সংগঠনের ভেতরে কি হচ্ছে তা নিয়ে মানুষের মাথাব্যথা নেই। ছাত্র সংগঠনের নেতার বিরুদ্ধে যখন এই মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে তখন কেন সংগঠনের তরফ থেকে পুলিশে এফআইআর করা হবেনা এবং কেন গ্রেফতার করে এই ঘটনার তদন্ত করা হবেনা?

দেখা যাচ্ছে যাদবপুরে সমস্ত ঘটনার পিছনে কোথাও না কোথাও বাম বা অতিবাম সংগঠনগুলি জড়িয়ে রয়েছে। এমনকি ছাত্রী অনামিকা মন্ডলের মৃত্যুর পিছনেও বাম নেতৃত্বের যুক্ত থাকার আভিযোগ উঠেছে। এর পাশাপাশি ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ। কেন কড়া পদক্ষেপ করা হবেনা? বাম ছাত্র সংগঠন দল থেকে সরিয়ে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলার চেষ্টা করছে। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে আইনি পথেই অভিযুক্তকে শাস্তি দেওয়ার দাবি উঠেছে সব মহলেই।

এর আগে দমদম এলাকার এক এসএফআই নেতার বিরুদ্ধে কুপ্রস্তাব দেওয়া এবং প্রতিশোধ নেওয়ার অভিযোগে তুলে ইস্তফা দিয়েছিলেন সংগঠনের এক নেত্রী। ওই ছাত্রনেতা তাঁকে বারবার মদ্যপানের প্রস্তাব দিতেন এমনকি ফাঁকা ফ্ল্যাটে যাওয়ার জন্য জোর করতেন। প্রত্যাখ্যান করায় অত্যাচার বাড়ে। বারবার যৌন সম্পর্কের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। ওই এসএফআই নেতা তাঁকে সিপিএমের ফেসবুক পেজের অঙ্ক্যার করার টোপও দিয়েছিলেন।

একমাসের মধ্যেই ফের আরও একটি ঘটনা। এবং ঘটনাচক্রে জড়িয়ে গিয়েছে সেই ইংরিজি বিভাগ। অভিযুক্ত সৌমিক এবং আক্রান্ত ছাত্রীটিও ইংরিজি বিভাগের।

আরও পড়ুন – প্রেরণা মুখ্যমন্ত্রী, এবারেও গড়িয়াহাট হিন্দুস্তান ক্লাবের পুজোয় চন্দ্রিমার গান

_

_

_
