কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে সেই অবরোধের মধ্যে দিয়েই আন্দোলনে কুড়মি সমাজ (Adibasi Kurmi Samaj)। যদিও রাজ্য প্রশাসন ও পুলিশের (West Bengal police) তৎপরতায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনায় দিনভর ঘটেনি। সেই সঙ্গে দুবছর আগে কুড়মি আন্দোলনে যে একতা দেখিয়েছিল কুড়মি সমাজ, তা যে ভেঙে গিয়েছে, স্পষ্ট হল এদিনের আন্দোলনে।

মূলত রেললাইনের উপর বসেই আন্দোলন চালায় আদিবাসী কুড়মি সমাজ। সেক্ষেত্রে আদালত রেল পুলিশের জন্য যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা যে কেন্দ্রের তৎপরতার অভাবে ব্যর্থ হয়েছে, তা প্রমাণিত। ঝাড়গ্রামের একাধিক জায়গায় আন্দোলনকারীরা রেল লাইনের উপর বসে আটকে দেয় একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। তবে পুরুলিয়া বা বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে সেটুকুও করতে পারেনি কুড়মি সমাজ।

ঝাড়গ্রাম লাগোয়া পুরুলিয়ার কোটশিলায় বিকালে কিছু কুড়মি সমাজের সমর্থকরা স্টেশনে ঢুকে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চালালে রাজ্য পুলিশ, জিআরপি ও আরপিএফ তা প্রতিহত করে। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে। পাল্টা পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়লে রণে ভঙ্গ দিয়ে পালাতে বাধ্য হয় আন্দোলনকারীরা। গ্রেফতার করা হয় কিছু হামলাকারীকে।

আরও পড়ুন : উৎসবের সূচনায় মুখ্যমন্ত্রীকে কুৎসিত আক্রমণ শুভেন্দুর! জবাব দিলেন কুণাল

তবে ২০২২ সাল বা ২০২৩ সালে যেভাবে রেললাইনের পাশাপাশি সড়ক ও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে দিনের পর দিন অশান্তির পরিবেশ তৈরি করেছিল কুড়মি সমাজের আন্দোলনকারীরা, এবার আর সেই সুযোগ তারা পায়নি। পুরুলিয়ায় ৩২ নম্বর জাতীয় সড়ক বা ৬০ নম্বর, ঝাড়গ্রামে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি কুড়মি সমাজ (Adibasi Kurmi Samaj)।

–

–

–

–

–