বাংলার উৎসবকে কলুসিত করতে পারলে বাংলাকে সকলের সামনে বদনাম করা যাবে। আর দুর্গোৎসবের শুরু থেকে সেই খেলা শুরু করে দিল বিজেপি। যেই শনিবার থেকে গোটা বাংলাকে দুর্যোগ, দুর্ভোগ, দুঃসময় কাটিয়ে উৎসবে মেতে ওঠার পথে এগিয়ে দিতে শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওমনি কুকথার রাজনীতি শুরু বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary)। পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) হিন্দুবিরোধী হয়েছেন, দাবি করেন শুভেন্দু। পাল্টা উদ্বোধনের বিস্তারিত জেনে মন্তব্য করার কটাক্ষ তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। মণ্ডপ (puja pandal) উদ্বোধন করলেই যে পুজোর উদ্বোধন হয় না, স্মরণ করিয়ে দিলেন তিনি।

দুর্গোৎসবের বাংলা যে অর্থনীতির মধ্যে দিয়ে চলে তাতে শহর থেকে জেলা, প্রত্যন্ত গ্রামে তার সুফল পৌঁছে যায়। এরপরেও বারবার সেই উৎসবকে বন্ধ করার চক্রান্ত করেছে বিজেপি। প্রতি বছরই মহালয়ার আগে থেকে কলকাতার বড় পুজো মণ্ডপ উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে উৎসবকে কিছুটা এগিয়ে দেওয়া হয়। উৎসবে মেতে ওঠা মানুষ মণ্ডপ দেখার ভিড় শুরু করে দেন। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। শনিবার, মহালয়ার আগের দিন হাতিবাগান সার্বজনীন, টালা প্রত্যয় ও শ্রীভূমি স্পোর্টিংয়ের পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এরপরই পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন নিয়ে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা কুণাল ঘোষের জবাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ যে উদ্বোধন শুরু করেছেন, তিনি মণ্ডপ (puja pandal) উদ্বোধন, উৎসবের (festival) বোধন করেন। পুজো উদ্বোধন কারো হতে পারে না। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Ahdikary) জেনে কথা বলুন।

আরও পড়ুন: মহালয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুরে ১৭ গানের অ্যালবাম প্রকাশ

সেই সঙ্গে একাধিক প্রথা স্মরণ করিয়ে দেন কুণাল ঘোষ। একদিকে তিনি শুভেন্দুকে প্রশ্ন করেন, মহালয়ার দিন ভোরে যখন আকাশবাণী থেকে মহিষাসুরমর্দিনী সম্প্রচারিত হয় তখনও পিতৃপক্ষ চলছে। তর্পণ চলে সেই সময়ে। মাতৃপক্ষ তখনও পড়ে না। সেটা কী জানেন না শুভেন্দু? সেই সঙ্গে জানতে চান, বলুন শুভেন্দু অধিকারী বলতে পারবেন কোন পঞ্জিকা মতে কোথায় কোথায় দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে এখন? আপনি পুরুলিয়ায় যান দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজবাড়িতে পুজো হচ্ছে। সেটা ১৬ দিন ধরে চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একশো বার হিন্দু। ব্রাহ্মণ ঘরের সন্তান। কিন্তু তিনি সব ধর্মকে সম্মান করেন ভালোবাসেন।

–

–

–

–

–