অভিজিৎ ঘোষ
দুটি ঘটনা। বাংলার মানুষ কেন মাথায় করে রেখেছেন মা-মাটি-মানুষের সরকারকে (TMC Govt), তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ঘটনাগুলি। আপাতত দুটি ঘটনা।

সবংয়ে আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধানের শিবির হয়েছে। নেত্রীর নির্দেশ মতো এলাকার বয়স্ক মানুষটিকে সভার সভাপতিত্ব করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। শিবির বসেছিল সংসদ এলাকায় খাসমহল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সভাপতি করা হয় এলাকার ১৫ বছরের অঞ্চল প্রধান এবং সিপিএম নেতা ক্ষুদিরাম সিংকে। সভায় বলতে উঠে ক্ষুদিরাম যা বললেন, তাতে সিপিএমের আরও এক দশক মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকা উচিত। তিনি বললেন, দীর্ঘদিন প্রধান ছিলাম। সিপিএম আমলে মানুষের কাজ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বামফ্রন্ট সরকার, বর্তমান তৃণমূল সরকারের মতো কাজে সহযোগিতা করেনি। আর তাই মানুষও দূরে ঠেলে দিয়েছে। পাশাপাশি বর্তমান সরকার যেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে তার তুলনা হয় না। আর তা হচ্ছে নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সুযোগ্য নেতৃত্বে। কমরেড, ক্ষুদিরামকে প্রশ্ন করুন।

দ্বিতীয়ত, আর একটি ঘটনা। চমকে দেওয়ার মতো। দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি নিয়ে বামেদের কতো ট্যারা-ব্যাঁকা কথা। তো নদিয়ার তাহেরপুরের ক্লাব সম্মিলনী মোটামুটি বামেদের ক্লাব বলেই পরিচিত। তারা সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিঘার মন্দিরের (Jagannath Temple Digha) আদলে মণ্ডপ তৈরির। প্রতিটি বামপন্থী সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করে এক বাক্যে রাজি হয়েছেন দিঘার মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরিতে। ক্লাবের কর্মকর্তা সুকান্ত দত্ত জানান, সকলে ভীষণ খুশি। এবারের পুজোয় তাহেরপুরের এই মণ্ডপ জেলার অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে। কেন তৃণমূল তিনবার পেরিয়ে চারবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে, তার উত্তর স্পষ্ট উত্তর এই দুটি ঘটনাতেই স্পষ্ট। কুৎসা করার আগে ভাবার চেষ্টা করুন কমরেড! প্রয়োজনে এমন উদাহরণ আবার দেব।

–

–

–

–

–

–

–