বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২২ নভেম্বর। তার আগেই ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর দুদফায় বিহার নির্বাচন (Bihar Assembly Election)। ১৪ নভেম্বর গণনা। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (Chief Election Commissioner) জ্ঞানেশ কুমার। বিহারে গত কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআরের প্রশংসা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার।
একনজরে বিহারের আসন ও ভোটার-
•মোট ২৪৩টি আসন
•২০৩টি সাধারণ
•২টি তফশিলি উপজাতি
•৩৮টি তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত
•মোট ভোটারের সংখ্যা সাত ৭.৪৩ কোটি
• পুরুষ ৩.৯২ কোটি
•মহিলা ৩.৫০ কোটি
•একশো বছর বয়সী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৪ হাজার
•নয়া ভোটার ১৪ লক্ষ
•৮৫ বছরের বেশি বয়সের ভোটারদের জন্য বাড়িতে ভোটদানের সুবিধা থাকবে
ছটপুজোর পরেই বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। ভোটার তালিকায় সংশোধন (SIR) বিতর্কের মাঝেই এদিন বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে গিয়ে এস আই আর এর প্রশংসা করেন জ্ঞানেশ কুমার।
প্রথম দফায় ৬ নভেম্বরের ভোটগ্রহণের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে হবে ১৭ অক্টোবর। দ্বিতীয় দফায় ১১ নভেম্বরের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে হবে ২০ অক্টোবর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন যথাক্রমে ২০ এবং ২৩ অক্টোবর। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানিয়েছেন, বিহারে ভোটে আট লক্ষের বেশি আধিকারিক নিয়ুক্ত করা হয়েছে। নিরাপত্তায় নজর বাড়াতে মোবাইল জমা রাখতে সুনির্দিষ্ট জায়গার বন্ধোবস্ত করা হয়েছে। সেখানে মোবাইল জমা রেখে বুথে ভোট দিতে ঢুকতে পারবেন ভোটাররা। ভোটার লাইন যাতে দীর্ঘ না হয় সেদিকে নজর রাখতে প্রতিটি বুথে সর্বাধিক ১২০০ জন ভোটার ভোটদান করতে পারবেন বলে এদিন জানিয়েছে কমিশন।
কোনওরকম অভিযোগ বা সমস্যার কথা জানাতে ১৯৫০ হেল্প লাইন নম্বর জারি করেছে কমিশন।
ভোট চলাকালীন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে নজরদারি নিশ্চিত করার জন্য ভোটার কেন্দ্রে ওয়েব কাস্টিং করা হবে। সমাজমাধ্যমে ভুয়ো খবর ছড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্ত কেন্দ্রে ডেস্ক, র্যাম্প এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন। ভোট কেন্দ্রগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী আগাম মোতায়েন করা হবে।
ভোটের আগেই বিহারে ভোটার তালিকায় SIR সমীক্ষা করেছে কমিশন। সমীক্ষায় প্রায় সাড়ে ৬৮ লক্ষ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এখনও পর্যন্ত যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাঁদের বিএলওদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। ভোট প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার দশদিন আগে পর্যন্ত তালিকায় নাম যুক্ত করা যাবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
–
–
–
–
