ডাক্তারি পড়ুয়াকে হোটেলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ খোদ রাজধানীতে। অভিযুক্ত অন্য এক ডাক্তারি পড়ুয়া (medical student)। পরিস্থিতি এমন হয় যে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবার পুলিশে অভিযোগ জানাতেও আসতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ জানালেও পাঁচদিন ধরে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি দিল্লির পুলিশ (Delhi Police)।

দিল্লির বাবা সাহেব আম্বেদকর মেডিক্যাল কলেজের এক ডাক্তারি পড়ুয়া অভিযোগ করেন, তাঁরই এক সহপাঠী তাঁকে দিল্লি শহরের একটি হোটেলে ডাকে ৯ সেপ্টেম্বর। হরিয়ানার ঝিন্দের (Jind) বাসিন্দা ওই দুই পড়ুয়া প্রতিবেশী হওয়ায় বিশ্বাসের ভরসায় হোটেলে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তরলে মাদক মিশিয়ে (drugged) তাঁকে খাওয়ানো হয়। এরপরই ধর্ষণও (raped) করে অভিযুক্ত ডাক্তারির পড়ুয়া (medical student)।

এই ঘটনার পরে পরিবারের কাছে পালিয়ে যান নির্যাতিতা ডাক্তারি পড়ুয়া। পরে পরিবারের সহযোগিতায় ও পরিবারের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। বৃহস্পতিবার দায়ের করা হয় মাদক খাওয়ানো ও ধর্ষণের অভিযোগ। তবে দিল্লি পুলিশের দাবি, তাঁরা এখনও খুঁজছেন অভিযুক্ত ডাক্তারি পড়ুয়াকে।

আরও পড়ুন: ‘সনাতন ধর্মের স্লোগান’ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জুতো ছোড়ার চেষ্টা আইনজীবীর!

মঙ্গলবারও গ্রেফতার করা যায়নি অভিযুক্ত যুবককে। গ্রেফতারিতে দেরি হওয়ায় যথেষ্ট ভয়ে নির্যাতিতা তরুণী। নির্যাতিতার আরও অভিযোগ, শারীরিক নিগ্রহের ছবি তুলে রাখে ওই অভিযুক্ত যুবক। সেই ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। গোটা ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজধানীর নিরাপত্তা। সেই সঙ্গে প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন দিল্লি পুলিশের পারদর্শিতা।

–

–

–

–

–