উত্তরবঙ্গের দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে সোমবার জনরোষের মুখে পরেন বিজেপির সাংসদ ও বিধায়ক। এই ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তোলে বিজেপি। জবাব দেয় তৃণমূলও। মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে এসে এই কথা জানান সংসদ বিষয়কমন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। পাল্টা রিজিজুকে খোঁচা দেয় তৃণমূল (TMC)। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) কটাক্ষ করে বলেন, এতদিন এত বিপর্যয় হয়েছে, সেখানে যাননি কেন? মনিপুরের অশান্তির ৯৬৪দিন পরে প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়েছেন- মন্তব্য কুণালের।

এদিন, মঙ্গলবার বাগডোগরা এয়ারপোর্টে পৌঁছন রিজিজুর। সেখানে তিনি জানান, পাহাড়ি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গে এসেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতিনিধি হিসেবে দুর্যোগে মৃতদের পরিবারের সদস্য এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। মঙ্গলবার, বৈঠক ও কর্মসূচি করে রাতে শিলিগুড়িতে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বুধবার বিজনবাড়ির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাওয়ার কথা।

মঙ্গলবার, উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে আক্রান্ত হন খগেন মুর্মু (Khagen Murmu) ও শঙ্কর ঘোষ (Shankar Ghosh)। নির্বাচনের সময় দেখা যায় কিন্তু অন্য সময় বিজেপিকে দেখা যায় না-এই ক্ষোভ উত্তরবঙ্গের মানুষের দীর্ঘদিনের। এদিন বিপর্যস্ত এলাকায় প্রচুর গাড়ি নিয়ে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষ ক্ষুব্ধ হন। বিজেপিশাসিত রাজ্যে আক্রান্ত হচ্ছেন বাংলাভাষী পরিযায়ী শ্রমিকরা, বাংলার বকেয়া বিজেপি নেতাদের কথা বন্ধ রেখে মোদি সরকার – সেই রোষ আছড়ে পড়ে এই দুজনের গাড়ির উপর। রীতিমতো লাঠি, ঝাঁটা, জুতো নিয়ে হামলা করেন স্থানীয়রা। আহত হন খগেন মুর্মু। শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তলে বিজেপি। রিজিজু বলেন, “সাংসদ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় লোকসভার স্পিকার গত কাল রাজ্য সরকারের কাছে নোটিশ দিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে। রিপোর্টে দেরি করা হলে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব অনুসারে আমরা পদক্ষেপ করব।”
আরও খবর: কেন্দ্রের দাবি লাদাখ শান্ত: তবে কেন ১০ দিন বন্ধ ইন্টারনেট, প্রশ্ন লাদাখের

এই বিষয় নিয়ে রিজিজুকে (Kiren Rijiju) তীব্র কটাক্ষ করেন কুণাল। তাঁর কথায়, এতদিন এত বিপর্যয় হয়েছে, সেখানে যাননি কেন? মনিপুরের অশান্তির ৯৬৪দিন পরে প্রধানমন্ত্রী সেখানে গিয়েছেন। আপনাদের নেতারা ত্রাণ না নিয়ে শুধু ছবি তুললে দুর্গত এলাকায় গিয়েছিলেন, সেই কারণেইমানুষের ক্ষোভ আছড়ে পড়েছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জানান, তাঁদের দল এই ধরনের হামলা কোনওভাবেই সমর্থন করে না।

–

–

–

–

–

–


