উত্তরবঙ্গজুড়ে বন্যার প্রকোপে বিপর্যস্ত ময়নাগুড়ি ব্লকের একাধিক গ্রাম। রবিবারের প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে জলঢাকা নদীতে আচমকা জলস্ফীতি ঘটে, ভেঙে যায় নদীবাঁধ। রামসাই, আমগুড়ি, চূড়াভান্ডার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকে পড়ে নদীর জল। মুহূর্তে জলের তলায় চলে যায় ঘরবাড়ি, ভেসে যায় গবাদিপশু, ক্ষতিগ্রস্ত হয় কৃষিজমি। আশ্রয়হীন মানুষদের অনেকেই পাড়ি দেন অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে। বর্তমানে জলস্তর কিছুটা নামলেও, বহু মানুষ এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি — কেউ রেললাইনের ধারে, কেউ বা নদীবাঁধেই গড়ে তুলেছেন অস্থায়ী আশ্রয়।


এই কঠিন সময়ে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (জলপাইগুড়ি জেলা শাখা) সদস্যরা। মঙ্গলবার তারা আমগুড়ি ও রামসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বন্যাকবলিত এলাকায় যান। সংগঠনের জেলা নেতা স্বপন বসাকের নেতৃত্বে শিক্ষকরা দুর্গত পরিবারের হাতে তুলে দেন শুকনো খাবার, দুধ, পানীয় জল এবং প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।

এদিনের এই ত্রাণসেবামূলক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃত্ব অমিত সিনহা, দীপাঞ্জন দত্ত, সুশান্ত রায়, হীরক রায়, অনিরুদ্ধ রায়, কমলেশ রায়, মৃত্যুঞ্জয় রায়, বিক্রয় বিশ্বকর্মা, বিষ্ণু নাহা সহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা। সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব গোবিন্দ পালও এদিন দুর্গত এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন ও তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন।


স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের কথায়, “বন্যার পর এমন উদ্যোগে আমরা আশার আলো দেখেছি। শিক্ষকরা শুধু ক্লাসরুমেই নয়, আমাদের জীবনের প্রতিটি কঠিন মুহূর্তেও পাশে দাঁড়ান।”

আরও পড়ুন – হিমাচলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, ভূমিধসে বাস চাপা পড়ে নিহত অন্তত ১৮

_

_

_

_

_
_


