পাকিস্তানে ক্রমশ খারাপ হচ্ছে শাহবাজ সরকারের সঙ্গে ইসমালী সংগঠনগুলির সম্পর্ক। একদিকে বালুচিস্তানের স্বাধীনতার সংগ্রামে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে খাইবার পখতুমখোয়া। এবার আফগানিস্তানে (Afghanistan) বিস্ফোরণের জেরে আত্মঘাতী হামলা সেই খাইবার পোখতুমখোয়ায় (Khyber Pakhtunkhwa)। পাকিস্তানের সরকারি হিসাবে ৭ জন পুলিশ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে সেই হামলায়। সেক্ষেত্রে বাস্তবে আরও ২০ জন পুলিশ কর্মীর (Pakistan police) মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আত্মঘাতী হামলাকারীরা (suicide attack) হামলার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে শুক্রবার পাকিস্তানের বিমান বাহিনী আচমকা হামলা চালায়। গাজায় (Gaza) আমেরিকার মদতে শান্তি চুক্তি স্থাপনে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে আমেরিকা ও ইজরায়েলের (Israel) সমর্থন দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। এরপর থেকেই সে দেশের ইলসামিক রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলি বিক্ষোভে পথে নেমেছে। তারই মধ্যে কাবুলে (Kabul) হামলা চালায় পাকিস্তানের বোমাড়ু বিমান।

এই পরিস্থিতিতে সরব তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (TTP)। শনিবার ভোরে খাইবার পখতুমখোয়া প্রদেশের ডেরা ইসমাইল খান এলাকায় একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে হামলা চালায় একাধিক টিটিপি (TTP) জঙ্গি। তার মধ্যে ছিল আত্মঘাতী জঙ্গিও। তারাই হামলার আগে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঢুকে ভিডিও প্রকাশ করে। আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় অন্তত ২০ জন পুলিশ কর্মীর। পাশাপাশি হামলাকারীদের মধ্য়ে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র হাতে জঙ্গিরাও। বিস্ফোরণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণরত পুলিশকর্মীদের উপর নির্বিচারে গুলিও চালানো হয়।

আরও পড়ুন: মোদি সরকারের আত্মসমর্পণ! ভারতে মহিলা সাংবাদিকদের উপর ‘তালিবানি শাসনে’ বিতর্ক

প্রাথমিকভাবে অনুমান কাবুলে (Kabul) হামলার বদলা নিতেই খাইবার পখতুমখোয়ায় (Khyber Pakhtunkhwa) হামলা চালায় টিটিপি (TTP)। হামলায় ৬ জঙ্গিরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পাক প্রশাসন। এছাড়াও ৫ জন সাধারণ নাগরিকও নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুরে নিহত পুলিশ কর্মীদের অন্তিম সৎকারের ব্যবস্থা করা হয় সরকারি মর্যাদায়।

–

–

–

–

–