প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে উত্তরের কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দ্রুততার সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছে কৃষি দফতর। শস্য বিমা ও বিমার বাইরে থাকা (নদীর চড়ায় চাষ) কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ (অ্যাসেসমেন্ট) করতে ইতিমধ্যে দফতরের আধিকারিক-অফিসাররা মাঠে নেমে পড়েছেন।

শনিবার নবান্ন থেকে ৮টি জেলার কৃষি আধিকারিকদের সঙ্গে দু ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। মানবিক মুখ্যমন্ত্রীর গাইডলাইন মেনে অফিসারদের তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক কৃষক যাতে বিমার টাকা পায় তা সুনিশ্চিত করতে হবে। তাদের কাছে পৌঁছে সব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। মন্ত্রী বলেন, এই প্রথম নদীর চড়ায় চাষ করা কৃষকদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। মানবিক মুখ্যমন্ত্রী কাউকে অসহায় অবস্থায় দেখতে চান না। তাই এই সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, অফিসাররা শুধু কৃষকদের কাছে যাবেন তাই নয়, তাঁরা যে গিয়েছেন সেই প্রমাণ স্বরূপ কৃষকদের সঙ্গে তাঁদের ছবি তুলে পাঠাতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে কাজ সারতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, উত্তরের ভয়াবহ দুর্যোগে প্রাণহানির সঙ্গে চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারও। ছিলেন দফতরের ডিরেক্টর প্রবীর হাজরা।

এছাড়াও ছিলেন, কৃষি ও কৃষি বিপণন বিভাগের প্রধান সচিব ওঙ্কার সিং মীনা-সহ বরিষ্ঠ আধিকারিকগণ, ছিলেন কৃষি অধিকর্তা। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ নেন ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলির উপকৃষি অধিকর্তারাও।

আরও পড়ুন – জল জীবন মিশন নিয়ে বিজেপির মিথ্যাচার ফাঁস করল তৃণমূল! কেন্দ্রের খরচ বকেয়া অভিযোগ রাজ্যের

_

_

_

_

_

_
_