প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে রবিবার ফের পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। একদিকে পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশাসনিক আধিকারিকদের থেকে নিলেন বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত খোঁজ। সেই সঙ্গে হাসিমারায় (Hasimara) নিজেই পৌঁছে গেলেন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনতে। সেখানে নিজে হাতেই তুলে দিলেন ত্রাণ (relief) সামগ্রী। প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকেই সংবর্ধনা (felicitated) জানালেন দুর্যোগ পরিস্থিতিত সাহসিকতা দেখানো সরকারি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের।

রবিবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার আগেই মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) ঘোষণা করেছিলেন দুর্যোগের পরিস্থিতিতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দ্রুত যাঁরা স্থানীয় মানুষের সাহায্যে কাজ করেছিলেন, সেই সরকারি কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের তিনি সংবর্ধিত করবেন। তিনি জানিয়েছিলেন, যারা খুব ভালো কাজ করেছেন তাঁদের আমরা একটা পুরস্কারও দেব। দমকল কর্মী, সিভিল ডিফেন্স, স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীদের। সেই মতো হাসিমারার প্রশাসনিক বৈঠকের (review meeting) পরই তিনি সেই পুরস্কার তুলে দেন।

প্রশাসনিক বৈঠকে আধিকারিকদের থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান গ্রহণ করেন। সেই মতো কোথায় কী পদক্ষেপ নিতে হবে, তা নিয়েও নির্দেশ দেন। আলিপুরদুয়ার জেলার দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি তিনি বেরিয়ে পড়েন স্থানীয় দুর্গত এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ শোনেন। শিশু ও মহিলাদের হাতে তুলে দেন ত্রাণ (relief) সামগ্রী।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গে রওনা মুখ্যমন্ত্রীর: আলিপুরদুয়ার থেকে দার্জিলিং, ঘুরে দেখবেন বিপর্যস্ত এলাকা

হাসিমারায় বেসরকারি চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গেও কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুভাষিনী চা বাগানের কর্মীরা বন্যায় ক্ষতির কথা বলেন। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে যতদূর সহযোগিতা সম্ভব না করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, চা বাগানের ক্ষতির বিষয়ে পর্যালোচনা করার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি বৈঠক করার নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন।

–

–

–

–

–