আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি

উত্তরের বন্যায় যখন ঘরবাড়ির সঙ্গে ভেসে গিয়েছিল অসংখ্য মানুষের হাসি, তখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তাঁদের পাশে। দ্বিতীয় দফায় সোমবার উত্তরবঙ্গে এসে যান নাগরাকাটার বামনডাঙা এলাকার টুন্ডু গ্রামে। সেখানে প্রমাণ করলেন, বিপর্যয়ের দিন হোক বা পুনর্গঠনের কাজে, তিনি মানুষের মুখের হাসিটাই ফিরিয়ে দিতে চান সবার আগে। এই সফরে তিনি প্রতিশ্রুতিমতোই দুর্গত পরিবারগুলির হাতে তুলে দিলেন সরকারি নথিপত্র, ক্ষতিপূরণের চেক এবং সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র।

মঞ্চেই ছিলেন কোচবিহার জেলার মাথাভাঙার বন্যায় প্রাণহারানো দশ বছরের ছোট্ট মৃন্ময় বর্মনের মা জয়ন্তী বর্মন। হাতে ছেলের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের কাগজ, অথচ চোখে শুধু হারানোর ব্যথা। মুখ্যমন্ত্রী যখন তাঁর হাতে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দিলেন, তখন জয়ন্তী কান্না আর ধরে রাখতে পারেননি। মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর গায়ে স্নেহের পরশ ছুঁইয়ে সান্ত্বনা দেন। পাশে দাঁড়ানো সকলেই নিঃশব্দে সেই দৃশ্যের সাক্ষী থাকলেন। আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘তুমি একা নও, আমরা সবাই আছি তোমার পাশে।’’ বন্যাপরবর্তী ত্রাণ, পুনর্বাসন, রাস্তা ও সেতু মেরামতের পাশাপাশি মানুষের মানসিক পুনর্গঠনের দিকেও নজর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর তাই শুধু সরকারি ঘোষণা নয়, এটি এক মানবিক সহমর্মিতার প্রতীক, যা উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত জনজীবনে নতুন করে জাগিয়ে তুলছে আশার আলো।


_

_

_

_

_

_
_