রাজধানী দিল্লির নিরাপত্তা ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্নের মুখে। সাংসদের গলার হার ছিনতাই থেকে ধর্ষণ, খুনের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের ব্যর্থতা বারবার প্রমাণিত। এবার দিল্লিতে বিদেশ মন্ত্রকের (MEA) অধীনে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের (university campus) মধ্যে ছাত্রীর গণধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্য। আশ্চর্যজনকভাবে ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনায় কোনও বিবৃতি প্রকাশ করতে পারেনি। দিল্লি পুলিশও (Delhi Police) কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতারে ব্যর্থ রয়ে গিয়েছে।

সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে (South Asian University) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরেই যৌন হেনস্থার শিকার হন এক ছাত্রী সোমবার বিকালে। বি.টেক-এর (B.Tech) প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের ভিতরে যৌন নির্যাতন ও গণধর্ষণের চেষ্টা (gang rape attempt) করা হয় বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে। ছাত্রীর এক সহপাঠী দিল্লির ময়দান গড়ি থানায় ফোন করে সোমবার এই অভিযোগ জানান। এরপরই ক্যাম্পাসে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে সোমবার।

পুলিশের কাছে নির্যাতিতা (sexually assaulted) অভিযোগ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভিতরে একটা জায়গা নতুন নির্মাণ হচ্ছে। সোমবার হস্টেল থেকে ক্যান্টিনের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময়ে সেই জায়গায় হঠাৎ চার জন তাঁকে ঘিরে ধরে। তাঁর জামাকাপড়ও ছিঁড়ে দেয়। অভিযুক্তরা তাঁকে গণধর্ষণের চেষ্টা (gang rape attempt) করেছে বলে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা।

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্তও এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে বেড়েছে ক্ষোভ। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসের মধ্যেই একদল পড়ুয়া বিক্ষোভ দেখায়। ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়।

আরও পড়ুন: দুর্গাপুর গণধর্ষণের অভিযোগের পুণর্নির্মাণ: আনা হল নির্যাতিতার সঙ্গীকে!

সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি সার্কভুক্ত (SAARC) আটটি দেশের পড়ুয়াদের পঠন পাঠনের সুবিধার্থে যৌথ উদ্যোগে চলা একটি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে। সার্ক-ভুক্ত দেশের পড়ুয়ারা এখানে পড়াশোনা করতে আসে। স্বাভাবিকভাবেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও ঘটনা ঘটার কারণে সার্ক দেশগুলির কাছে ভারতের সম্মান যে নিচে নেমে গেল, তা বলাই বাহুল্য।

–

–

–

–