বীরভূম জেলার মহম্মদবাজার থানার দুই পুলিশকর্মীকে অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর সরাসরি সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেলা ট্রাক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনাস আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, এএসআই শফিউল আলম ও কিরণ মণ্ডল পুলিশের পোশাক পরে যানবাহন আটকিয়ে পাথরের গাড়ি থেকে অর্থ আদায় করেছিলেন। পরে ভাইরাল হওয়া দুটি ভিডিও পুলিশ সুপার শ্রী আমনদীপের নজরে আসে। ভিডিওতে দেখা যায়, অভিযুক্ত দুই পুলিশকর্মী সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। পুলিশ সুপার জানান, “দুইজনকেই সঙ্গে সঙ্গে সাময়িকভাবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হবে। পুলিশ এই ধরনের কাজ কখনও সমর্থন করে না।”

এই ঘটনার পর বীরভূম জেলা পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি প্রকাশ করা হয় জনগণকে জানাতে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, দুজনের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি বলেন, “বাংলা একমাত্র রাজ্য যেখানে পুলিশও অপরাধ করলে শাস্তির আওতায় আসে। এ জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বীরভূম পুলিশ দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতি বজায় রাখছে।” পুলিশ সুপারের এই পদক্ষেপ সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসা পাচ্ছে। রাজনৈতিক বিরোধীরা যদিও পুলিশের নিন্দা করেছেন, কিন্তু জেলা পুলিশ তাদের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে খণ্ডন করেছে।

আরও পড়ুন – কালীপুজো – দীপাবলিতে দুই ঘণ্টা সবুজ আতসবাজির অনুমতি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের

_

_

_

_

_

_

_