দুর্গাপুরের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভিন রাজ্যের তরুণীর ধর্ষণের (Durgapur Private Medical college rape case) ঘটনায় এবার নয়া তথ্য পুলিশের হাতে। ক্যাম্পাসের প্রায় পাঁচশো মিটারের মধ্যে জঙ্গলে যে অংশে ধর্ষণ হয়েছিল বলে জানা গেছে সেখানে তল্লাশি চালাতেই অব্যবহৃত একটি কন্ডোম (Condom) উদ্ধার করে পুলিশ। এখানেই শেষ নয় নির্যাতিতার সহপাঠী যুবকের (Victim’s Friend) হোস্টেল রুম থেকেও ১১ টি কন্ডোম পাওয়া গেছে বলে খবর। বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে থাকা সেই বন্ধুকে জেরা করতে গিয়ে একাধিক তথ্যের গরমিল খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি দুর্গাপুরের নির্যাতিতার সঙ্গে ধৃত সহপাঠীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও whatsapp চ্যাট হাতে পেয়ে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।সবমিলিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা।

নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা শুরু থেকেই ধৃত সহপাঠীর দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। আবার আক্রান্ত তরুণী তাঁর বয়ানে বারবার বন্ধুর প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন বলেও অসমর্থিত সুত্রের খবর। ধৃত যুবক যে সন্দেহের ঊর্ধ্বে নন, তা আগেই জানিয়েছিলেন দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীলকুমার চৌধুরি (Sunil Kumar Choudhary)। এবার যেখানে ধর্ষণ হয়েছে সেখানে থেকে কন্ডোম উদ্ধার এবং মেডিক্যাল ছাত্রীর সহপাঠীর রুম থেকেও এই একই জিনিস মেলায় ঘটনাপ্রবাহ ঘিরে রহস্য বাড়ছে। প্রথম দিকেই প্রশ্ন উঠেছিল যে কীভাবে ওই যুবক তরুণীকে ছেড়ে পালিয়ে গেলেন বা তিনি বিপদে আছেন জেনেও হোস্টেলের কাউকে গিয়ে কিছু বললেন না। প্রাথমিকভাবে তাঁকে আটক করতেই তিনি বয়ান একাধিকবার বদল করায় পুলিশের সন্দেহ বাড়ে এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার করা হয় নির্যাতিতার বন্ধুকে। বৃহস্পতিবার সকালে যুবককে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, সেখানেই তাঁকে পুনরায় জেরা করা হয়। তবে জঙ্গলের যে অংশে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার কথা ছিল তার পরিধি কেন ৫০ মিটার বাড়িয়ে দেওয়া হলো সে নিয়ে পুলিশের তরফে স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে মালদহের বাসিন্দা ওই যুবকের আচার-আচরণ এবং কথাবার্তা যথেষ্ট সন্দেহজনক। তাঁর বাবা কংগ্রেসের নেতা এবং পঞ্চায়েতের সদস্য বলে জানা গেছে। ধর্ষণ কাণ্ডের সঙ্গে এই কন্ডোমের কতটা যোগসূত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

–

–

–

–

–

–

–

–