Monday, November 10, 2025

মহারাষ্ট্রের হাসপাতালে পুলিশ-সাংসদদের ‘রাজ’! আত্মহত্যার আগে চার পাতা লিখলেন চিকিৎসক

Date:

সরকারি হাসপাতাল মানে প্রশাসনিক ও পুলিশের সব কাজেই দরকার পড়ে সেই হাসপাতালের। আর সেই সুযোগে মহারাষ্ট্রের হাসপাতালগুলিতে পুলিশের ও নেতাদের কী ধরনের স্বৈরাচার চলে চিকিৎসকদের উপর, তার ছবি তুলে দিয়ে গেলেন মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) ধর্ষিতা চিকিৎসক (rape victim)। সুইসাইড নোটে (suicide note) তিনি হাসপাতালে প্রশাসনিক অরাজকতা ও চাপের রাজত্ব কায়েম করেছে, তা স্পষ্ট করে দিলেন। যে বিজেপি বাংলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলির নিরাপত্তা নিয়ে আরজিকরের ঘটনার পরে সরব হয়েছিল, তাদের নিজেদের রাজ্য মহারাষ্ট্রে কীভাবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি (health centre) রাজনৈতিক ফায়দা ও অনৈতিক কাজের আখড়া বানিয়েছে, সেই ছবি এক চিকিৎসককে জীবন দিয়ে জানাতে হল।

মহারাষ্ট্রের সাতারার চিকিৎসক তরুণী ২৩ মাস ফলটনের সাব ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার (MO) পদে ছিলেন। আর সেই সময়ের মধ্যে চারবার এক পুলিশ আধিকারিকের দ্বারা ধর্ষিতা (raped) হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সেই কথা তিনি তাঁর হাতে লিখে গিয়েছিলেন। কিন্তু বাকি যা কিছু তিনি হাতে লিখতে পারেননি, তা তিনি জানিয়ে গিয়েছেন চার পাতার সুইসাইড নোটে।

মৃত চিকিৎসকের সুইসাইড নোটে দাবি, তাঁকে পুলিশ থেকে বারবার ধৃত ব্যক্তিদের মেডিক্যাল করার সময় ভুল রিপোর্ট (false report) লিখতে বাধ্য করা হত। এমনকি বহু ক্ষেত্রে ধৃতকে না দেখেই ‘সুস্থ’ বলে রিপোর্ট লিখে দিতে হত। ময়নাতদন্তের (post mortem) রিপোর্টের ক্ষেত্রেও একই চাপ ছিল। অনেকক্ষেত্রে সাংসদরা (MP) ফোনে একই চাপ দিতেন। হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হত।

মৃতা নিজের চারপাতার নোটে যে দাবি করেছেন, তার সঙ্গে সহমত হয়েছেন তাঁর এক আত্মীয়ও। তিনিও দাবি করেন, হাসপাতালে চিকিৎসককে প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে থাকতে হবে। সবটাই অনৈতিক কাজের জন্য। এমনকি এই সংক্রান্ত অভিযোগ তিনি জেলা পুলিশ সুপার (SP), ডেপুটি সুপার পর্যন্তও জানিয়েছিলেন। কেউ তাঁকে প্রতিকারের আশ্বাস দিয়েছিলেন। আবার কেউ পরে যোগাযোগ করার আশ্বাস দিয়েও আর কখনও যোগাযোগ করেননি।

আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে হাতে চিরকুট লিখে ‘আত্মঘাতী’ মহিলা চিকিৎসক: পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, নীরব বঙ্গ বিজেপি!

স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিক্যাল অফিসার পুলিশ আধিকারিকের (Maharashtra Police) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করার পর স্বাভাবিকভাবে মহারাষ্ট্রের সাধারণ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যেখানে একজন মেডিক্যাল অফিসারের নিরাপত্তা নেই, রক্ষকদের হাতে তিনিই ধর্ষিতা, সেখানে অন্যান্য চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু চারপাতার সুইসাইড নোটটি সামনে আসার পরে গোটা ছবিটা যেন আরও একধাপ বিজেপির অরাজকতাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।

Related articles

ধর্মীয় বই কিনতে গিয়ে ২ কোটি টাকার প্রতারণার ফাঁদে কলকাতা ইসকন! গ্রেফতার ১ 

ধর্মীয় বই কেনার অর্ডার দিতে গিয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার প্রতারণার শিকার হল কলকাতা ইসকন। অভিযোগ, অর্ডার অনুযায়ী...

বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের সৌজন্যে হারানো পুলিশের চাকরি ফিরে পাচ্ছেন বাবা

কয়েকদিন আগেই আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ(ICC World Cup)  জিতেছে ভারতীয়  মহিলা দল। মেয়েদের সাফল্যে গর্বিত মা-বাবারা। তবে বিশ্বকাপজয়ী মেয়ের...

গ্যাস-সমস্যায় নিঃশ্বাসের পরীক্ষা: যুগান্তকারী আবিষ্কারে বিশ্বে স্বীকৃতি বাঁকুড়ার চিকিৎসকের

একটি সাধারণ সমস্যা, যাতে জর্জরিত বর্তমান যুবসমাজ থেকে শিশুরা পর্যন্ত। গ্যাস বা গ্যাসট্রাইটিসের মতো সমস্যা নির্ধারণ করার জন্য...

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে বাড়তে পারে আসন সংখ্যা, জানালো এসএসসি 

রাজ্যের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ফলাফল ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী,...
Exit mobile version