স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তায় কড়া অবস্থানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবারই তা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। অথচ খোদ তৃণমূলের পুরপ্রধান তথা জেলা সভাপতিকেই দেখা গিয়েছে সরকারি হাসপাতালে ঢুকে রোগী মৃত্যুতে স্বাস্থ্যকর্মীদের হুমকি দিতে। ইসলামপুরের (Islampur) ঘটনায় কোনওভাবেই স্বাস্থ্যকর্মীদের (health worker) উপর এই ধরনের আচরণ যে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস মেনে নেবে না, স্পষ্ট করে দিলেন দলের মুখপাত্র তথা মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja)।

ইসলামপুর হাসপাতালে (Islampur Hospital) এক রোগীকে বুধবার শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে বাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ওই দিন রাত থেকে ফের তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শুক্রবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছু সময় পরে তাঁর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, শুক্রবার তাঁকে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক ঠিকমতো দেখাশোনা করেননি। কর্তব্যরত নার্সরা (nurse) চিকিৎসকের দেওয়া ইঞ্জেকশন দেননি। ফলে চিকিৎসার গাফিলতিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

এরপরই রোগীর পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় ইসলামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা উত্তর দিনাজপুরের তৃণমূল জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল (Kanaia Lal Agarwal) এসে চড়াও হন হাসপাতালে। কর্তব্যরত নার্সদের ঘরে ঢুকে তাঁদের হুমকি (threat) দিতে থাকেন। নার্সিং কর্মীদের অবহেলাতেই রোগীর মৃত্যু বেল দাবি করেন কানহাইয়ালাল।

আরও পড়ুন: সরকারি হাসপাতালের নিরাপত্তা-বৈঠকে ভার্চুয়ালি যোগ মুখ্যমন্ত্রীর: একাধিক নির্দেশ

তবে এই ঘটনা মোটেই ভালোভাবে নিচ্ছে না রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে রাজ্যের প্রশাসন সবরকম পথে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে রোগী ও চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য চেষ্টা করছে, সেখানে শাসকদলের পদাধিকারীর এই আচরণে নিন্দা তৃণমূলের। মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) দাবি করেন, যদি জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে চিকিৎসকের উপর হাত তোলে সেটা গ্রহণযোগ্য নয়। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে অবহেলা একটি অভিযোগ দিয়ে চিকিৎসককে মারধর করা গ্রহণযোগ্য নয়। যদি কোনও ক্ষমতার জায়গা থেকে কেউ যদি ঔদ্ধত্য দেখায়, হুমকি (threat) দেয় সেটাও গ্রহণযোগ্য নয়। সব ক্ষেত্রেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

–

–

–

–
–


