চূড়ান্ত অরাজকতার উদাহরণ রাজধানীতে! দক্ষিণ দিল্লির গ্রেটার কৈলাশ এলাকায় এক বেসরকারি স্কুলের বাইরে বন্দুক দেখিয়ে সহপাঠীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল একাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। সময়মত খবর পাওয়ায় অপহৃত পড়ুয়াকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ (Delhi police)। ঘটনায় চার নাবালককে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তরফে খবর, স্কুলে পড়ুয়াদের দুই দলের মধ্যে ঝামেলার হওয়ার পরেই এই অপহরণের পরিকল্পনা করা হয়। প্রতিশোধ নিতেই সহপাঠীকে অপহরণের চিন্তাভাবনা করে অভিযুক্তরা। অপহৃত পড়ুয়া সিআর পার্কের (chittaranjan park) বাসিন্দা। পুলিশকে তিনি জানান, স্কুলে তাঁর ও তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকজন সহপাঠীর ঝগড়া হয়। এরপরে এক সহপাঠীর বড় ভাই সেই পড়ুয়াকে খুনের হুমকি দেয়। দুপুর ২টো নাগাদ ক্লাস শেষ হওয়ার পর, স্কুলের গেটের কাছে তিনটি এসইউভি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন অপহৃত পড়ুয়া। একটিতে নম্বর প্লেট ছিল এবং দুটিতে নম্বর প্লেট ছিল না।

ভয় পেয়ে সেই পড়ুয়া নিজের বাবাকে সব জানায়। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই স্কুলের বাইরে থেকে বন্দুক দেখিয়ে তাকে অপহরণ করা হয়। খবর পেয়ে সিআর পার্ক থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় পরিবারের তরফে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে, সিআর পার্ক থানার স্টেশন হাউস অফিসার (এসএইচও) এবং তার দল দ্রুত এসইউভিটির গতিবিধি সনাক্ত করে। পুলিশ গ্রেটার কৈলাসের কাছে একটি গাড়ি আটক করে এবং অপহৃত কিশোরকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। এরপরেই তিনি পুলিশকে জানান অভিযুক্তরা তাঁকে বলেছিল যে তারা তাঁকে নয়ডায় নিয়ে যাচ্ছে এবং মেরে ফেলা হবে যাতে মৃতদেহও না পাওয়া যায়। চার নাবালককে আটক করা হয়েছে এবং তাদের থেকে একটি পিস্তল এবং ২০টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্য দুটি গাড়ি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় তবে সেগুলোর খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃত নাবালকদের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে হাজির করা হয় এবং আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুই দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করা হয়েছে। অভিযুক্ত নাবালক কীভাবে অস্ত্রটি পেয়েছিল এবং ছাত্রের অপহরণের ষড়যন্ত্রে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক জড়িত ছিল কিনা সবটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্কুলের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নাবালিকদের হাতে কীভাবে অস্ত্র আসছে তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে।

–

–

–

–

–

–

–
–
–


