মাত্র দেড় মাসে ইংল্যান্ডে(England) দ্বিতীয় ‘বর্ণবিদ্বেষী ধর্ষণ’ এর ঘটনায় চাঞ্চল্য। এবার শিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক যুবতী। কিছুদিন আগেই ব্রিটেনে এক শিখ মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই আবার উত্তর ইংল্যান্ডে ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে নিন্দা বিশ্বজুড়ে।

ব্রিটেন পুলিশ সূত্রে খবর, ২০ বছরের এক ভারতীয় বংশোদ্ভূ যুবতী এবার আক্রান্ত হয়েছেন। ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ জানিয়েছে ওয়ালসলে এই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন একজন শ্বেতাঙ্গ পুরুষের তল্লাশি করছে তারা। সিসিটিভিতে ধরা পড়া সেই হামলাকারীর একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।

হামলাকারীর বয়স আনুমানিক তিরিশ অনুমান করা হচ্ছে। হামলাকারীর ছোট করে চুল ছাঁটা এবং ঘটনার সময় সে কালো পোশাক পরেছিল। রবিবার গোয়েন্দা সুপারিনটেনডেন্ট রোনান টাইরার জানিয়েছেন তরুণীর উপর ভয়াবহ হামলা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারী দল প্রমাণ উদ্ধার করছে এবং হামলাকারীর একটি প্রোফাইল তৈরি করা হয়েছে যাতে দ্রুত তাকে হেফাজতে নেওয়া যায়।

তদন্তের স্বার্থে এলাকার গাড়িচালকদের তাঁদের ড্যাশক্যাম এবং ঘটনাস্থলের আশেপাশের বাসিন্দাদের তাঁদের সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখার আবেদন করেছে পুলিশ। সূত্রের খবর, আক্রান্ত যুবতী একজন পঞ্জাবি মহিলা। এই অবস্থায় শিখ ফেডারেশন ইউকে বলেছে যে বর্ণবিদ্বেষী ধর্ষণের শিকার হওয়া যুবতী একজন পঞ্জাবি মহিলা। সেই যুবতী যে বাড়িতে থাকতেন সেখানে দরজা ভেঙে দেয় হামলাকারী। এই অপরাধের প্যাটার্ন যে খুবই উদ্বেগজনক সেই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডের ওল্ডবারিতে এক শিখ মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। ৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে যদিও পরে তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়।

–

–

–

–
–


