স্বাস্থ্যকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে বাংলায় দিনের পর দিন গলা ফাটায় বিজেপির নেতারা। বাংলার একশ্রেণির চিকিৎসকরা প্রায় প্রতিদিন নিরাপত্তার দাবি তুলে কাজ বন্ধ রেখে পথে নামেন। তবে চিকিৎসকদের সামগ্রিক মানসিকতায় রোগী ও তাঁদের পরিজনরা কতটা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে পারেন, নজির রাখলেন প্রধানমন্ত্রীর (Prime Minister) রাজ্যের এক চিকিৎসক। এক শিশুর আত্মীয়ের গায়ে হাত তোলার পাশাপাশি সরাসরি অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসা (doctor) করতেও অস্বীকার করে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করতে বাধ্য হয়েছে গুজরাট (Gujarat) প্রশাসন।

আমেদাবাদ (Ahmedabad) শহরের আশিক ছাওড়া নামে এক ব্যক্তি তাঁর গুরুতর অসুস্থ ভাইজিকে নিয়ে আমেদাবাদের সোলা সিভিল হাসপাতালে (Sola Civil Hospital) পৌঁছান। সে সময় হাসপাতালে শিশুরোগ বিভাগে কোনও চিকিৎসক (pediatrician) ছিলেন না। অথচ তাঁর সঙ্গের শিশুটি প্রবল জ্বরে এবং শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিল। শেষ পর্যন্ত এক চিকিৎসক আসেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, ওই চিকিৎসক মোবাইল ফোনেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন শিশুটিকে দেখার জন্য চাপ দিতেই তিনি থার্মোমিটার দেওয়া নিয়ে শিশুর আত্মীয়দের তিরস্কার করতে থাকেন।

চিকিৎসকের আচরণে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকের ভিডিও করতে থাকেন। তা দেখে আরও ক্ষেপে যান ওই চিকিৎসক। এবং তিনি প্রথমে ভিডিও (video) করা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তার পরক্ষণেই এগিয়ে এসে আশিক ছাওড়া নামে ওই ব্যক্তিকে চড় (slap) মারেন। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল (ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি) হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন: ‘নকল’ যমুনা ঘাটের পর্দাফাঁস: রাতারাতি বাতিল মোদির ছটপুজো!

তবে শুধু চড় মারাই নয়। একজন চিকিৎসক হিসাবে অমানবিক কাজ ওই চিকিৎসক করেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে অত্যন্ত অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসা করতে রাজি হননি। হুমকি দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বললেও তিনি ওই শিশুর চিকিৎসা করবেন না। ঘটনাস্থলে হাসপাতালের নিরাপত্তা রক্ষীও উপস্থিত ছিলেন। রোগীর আত্মীয়ের গায়ে চিকিৎসক হাত তুললেও কোনও বাধা দেয়নি সেই নিরাপত্তা কর্মী। আর সেখানেই আরও একবার প্রশ্নের মুখে নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্যে হাসপাতালের নিরাপত্তা। যেখানে নিরাপত্তা কর্মীর সামনে আক্রান্ত হন রোগীর আত্মীয়।

–

–

–

–
–


