একের পর এক দুষ্কৃতী হামলা। মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতার একের পর এক উদাহরণ উঠে এলেও উদাসীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MHA)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) দফতরের এই উদাসীনতায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে রাজধানী দিল্লির দুষ্কৃতীরা। মহিলাদের হেনস্থা থেকে আক্রমণের ঘটনা এখন দিল্লির নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার দুষ্কৃতী (miscreants) দৌরাত্ম্য থেকে ছাড় পেলেন না মহিলা সাংবাদিক (female journalist)। সাংবাদিকের গাড়ি ধাওয়া করে গাড়ির কাঁচ ভেঙে হেনস্থা চালালো দুষ্কৃতীরা।
দেশের অন্যতম প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলির দিল্লি দফতর নয়ডাতেই (Noida)। সেরকমই নয়ডায় নিজের বেসরকারি সংবাদ সংস্থার দফতর থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন জনপ্রিয় চ্যানেলের এক শীর্ষ স্থানীয় সাংবাদিক। নয়ডার সেক্টর ১২৯-এর নিজের দফতর থেকে বেরোনোর পরই একটি স্কুটিতে দুই যুবক তাঁকে ধাওয়া করে। প্রায় ১৩ কিলোমিটার দুষ্কৃতী (miscreants) দৌরাত্মের সময় কোনও পুলিশের দেখা পাননি তিনি সহযোগিতার জন্য।
বৃহস্পতিবার একটু বেশি রাতে নিজের দফতর থেকে বসন্তকুঞ্জে নিজের বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন মহিলা সাংবাদিক। সেই সময় স্কুটি করে দুই যুবক তাকে ধাওয়া করে। প্রথমে তাঁকে থামতে বলা হয়। কিন্তু তিনি তা অগ্রাহ্য করে গাড়ির গতি বাড়ান। এরপরই স্কুটিটিও প্রবল গতিতে তাঁকে ধাওয়া করতে থাকে। একসময় কাঠের একটি বড় খণ্ড ছুঁড়ে তাঁর গাড়ির পেছনের কাঁচ (rear glass) ভেঙে দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও গাড়ির গতি কমাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ডিএনডি ফ্লাইওভারের কাছে এক দল ট্যাক্সিচালককে দেখে তিনি সমস্যার কথা জানান। ট্যাক্সি চালকেরা তাঁকে সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়ার পর দেখা যায় স্কুটিসহ দুই দুষ্কৃতি গায়েব।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে উধাও নারী নিরাপত্তা: কলেজ ছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা!
এরপর তিনি পুলিশ কন্ট্রোল রুমে অভিযোগ জানান এবং নিজের লোকেশন শেয়ার করেন। এই ঘটনায় দিল্লি পুলিশে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে দীপক ও শুভম নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। পুলিশের দাবি, এই দুই যুবকের বিরুদ্ধে আগেও বিভিন্ন কুকর্মের অভিযোগ রয়েছে। মদের নেশায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই কাণ্ড তারা ঘটিয়েছিল। সেখানেই প্রশ্ন উঠছে, পুলিশের খাতায় নাম থাকা দুষ্কৃতীরা কীভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দিল্লি শহরে। অথচ রাজধানী শহরে সাধারণ নিরাপত্তাটুকু দিতে ব্যর্থ অমিত শাহর পুলিশ।
–
–
–
–
–