এসআইআরের নামে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার খেলা শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন। একদিন আগেই চুপিচুপি কারচুপির ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে সেই ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব ফাঁস করল তৃণমূল(TMC)।
শাসক দলের অভিযোগ, ২০০২-এর ভোটার লিস্ট বলে যেটা নির্বাচন কমিশন আপলোড করেছে তাতে আচমকা নাম অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে কিছু বুথের তথ্য তুলে ধরে দেখিয়ে দেওয়া হয়েছে সেই অভিযোগের সারবত্তা। এই মর্মে তৃণমূল শুক্রবার জানায়, এসআইআর ঘোষণার মুহূর্তেই খেলা শুরু হয়ে গেছে। আর ছবিটা স্পষ্ট, কুৎসিত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। পুরো প্রক্রিয়া ঠিকভাবে শুরু হওয়ার আগেই নাটাবাড়ি, মাথাভাঙা, আশোকনগর ও এখন বসিরহাটে ভোটার তালিকা থেকে নাম উধাও হয়ে যাচ্ছে।
এখানেই শেষ নয় তৃণমূলের আরও অভিযোগ, শুধু বসিরহাটের(Basirhat) একটি বুথেই অনলাইন তালিকায় ৮৫৯ থেকে ৮৯২ পর্যন্ত ক্রমিক নম্বরের জায়গাটা পুরো ফাঁকা। ২০০২ সালে যেসব নাম ছিল, আজ সেগুলো নেই। এটা স্পষ্টভাবে একটা পরিকল্পিত, কেন্দ্রীয় মদতপুষ্ট ভোটার মুছে ফেলার অপারেশন।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছেন এসআইআর মানে Silent Invisible Rigging। তাঁর কথার সমর্থনে তৃণমূল লিখেছে, দিল্লির তথাকথিত জনবিরোধী জমিদাররা তাদের কাঠের পুতুল প্রশাসনিক মেশিনারির সাহায্যে, ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের নামে বিশাল মাত্রায় বৈধ ভোটার মুছে ফেলার কাজে নেমেছে। কিন্তু বাংলা চুপ করে থাকবে না, কারণ বাংলার মানুষকে পরিকল্পিতভাবে স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সাফ কথা, ভোটাধিকার কোনও দয়া নয়, এটি সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার। তাই একটিও বৈধ ভোটারের নামও যদি তালিকা থেকে কাটা হয়, আমরা সরাসরি নির্বাচন সদনের দরজায় গিয়ে প্রতিবাদ জানাব। নাম মুছে ভোট চুরি করার চেষ্টা করলে বাংলার মানুষ চুপ করে থাকবে না, রুখে দাঁড়াবে।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে কোচবিহারের কিছু বুথের তথ্য তুলে ধরেন। আর শুক্রবার ফের একাধিক বুথ নিয়ে একই অভিযোগ সামনে আনল তৃণমূল।
–
–
–
