Friday, December 19, 2025

বাংলাদেশে পাঠানো সোনালি একজন ভারতীয়: এবার প্রমাণ করল নির্বাচন কমিশনের নথি

Date:

Share post:

বাংলাদেশী বলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া সোনালি খাতুন আদতে ভারতেরই নাগরিক। এবার সেটা প্রমাণ করল খোদ নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা। কমিশনের যে মাপকাঠিতে ভোটার তালিকায় একজন নাগরিকের নাম থাকা সম্ভব, সেই মাপকাঠি পূরণ করেছেন সোনালি। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশে (Bangladesh) জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া সোনালি ও তার পাঁচজন সঙ্গীকে ভারতে ফেরানোর তৎপরতা শুরু করল না কেন্দ্রের বাংলা-বিরোধী সরকার।

বীরভূমের অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুনকে ‘অবৈধ অনুপ্রবেশকারী’ (illegal immigrant) বলে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। অথচ সোনালির (Sunali Khatun) বাবা ও মা, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় (voter list) বৈধ ভারতীয় নাগরিক (Indian citizen) হিসেবে নথিভুক্ত! যা প্রমাণ করে সোনালি খাতুন ভারতেরই একজন বৈধ নাগরিক। এই ঘটনায় বিজেপিকে তোপ দাগল তৃণমূল কংগ্রেস।

সিইও ওয়েস্ট বেঙ্গল পোর্টাল থেকে পাওয়া ভোটার তালিকায় বীরভূমের মুরারাই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে ভোদু শেখ এবং জ্যোৎস্না বিবিকে দেখানো হয়েছে। দম্পতির ভোটকেন্দ্র ছিল পাইকর প্রাথমিক বিদ্যালয়, রুম নং ৩। তালিকায় ভোদুর বাবার নাম হাতিম তাই শেখ উল্লেখ করা হয়েছে।

দিল্লি পুলিশ ২১ জুন সোনালি, তাঁর স্বামী দানিশ শেখ এবং তাদের ৮ বছর বয়সী ছেলেকে কেএন কাটজু মার্গ থেকে গ্রেফতার করে, আধার কার্ড এবং অন্যান্য নথি থাকা সত্ত্বেও তাদের অবৈধ বলে ঘোষণা করে। ২৬ বছর বয়সী সোনালিকে জন্মসূত্রে ভারতীয় হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হলে, নাগরিকত্ব আইন অনুসারে, বাবা-মায়ের মধ্যে অন্তত একজনকে সেই সময়ে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ২০০২ সালের তালিকাতেই সেই নাগরিকত্ব প্রমাণিত হল সোনালি খাতুনের।

বিজেপিকে আরও একবার তোপ দেগে এ বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে,”প্রমাণ স্পষ্ট, বাংলার মানুষকে অপমান করতে ও আতঙ্কে রাখতেই বিজেপির এই SIR অভিযান। অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে অনুপ্রবেশকারী বলে অন্য দেশে নির্বাসিত করার ঘটনা আবারও স্পষ্ট করল – বিজেপি আসলেই বাংলা-বিরোধী।”

আরও পড়ুন: বিডিও-র টেবিল চাপড়ে ‘সানি দেওল’ বিজেপি সাংসদ! হুমকি সংস্কৃতিকে কটাক্ষ তৃণমূলের

গত ২৬ সেপ্টেম্বর, বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও অন্তঃসত্ত্বা সোনালি খাতুন-সহ ছ-জনকে জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল বিএসএফ। এই নিয়ে মামলা হওয়ায় উচ্চ আদালত পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, ওঁরা ভারতীয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ওঁদের দেশে ফেরাতে হবে কেন্দ্রের সরকারকে। অন্যদিকে বাংলাদেশের আদালতও প্রমাণ করেছে সোনালি ও তাঁর পাঁচ সঙ্গী ভারতীয়। তাঁদের দ্রুত ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সময়সীমা ইতিমধ্যেই শেষ। তার পরেও তাঁদের ভারতে ফেরানো হয়নি। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকে ফেরত আনার দায়িত্ব দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোনও মানবিক তৎপরতা দেখায়নি।

spot_img

Related articles

বাংলায় আবার নিশ্চয়ই মমতার সরকার হবে, বাঙালিরাই দেশের ভবিষ্যৎ বলে দেয়: সংসদ চত্বরে সরব জয়া

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দীর্ঘদিন সুসম্পর্ক সমাজবাদী পার্টির (SP) রাজ্যসভার (RajyaSabha) সাংসদ...

মেসি ইভেন্টের আর্থিক তদন্তে ইডি, শতদ্রুর বাড়িতে পুলিশের হানা

মেসি ইভেন্টে বিশৃঙ্খলা কাণ্ডে তদন্তে ইডি(ED )। শতদ্রু দত্তের অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদনের তদন্ত করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।...

দ্বিতীয় বৈঠকেও কাটল না চিংড়িঘাটার মেট্রো জট

দ্বিতীয় বৈঠকের পরেও চিংড়িঘাটা মেট্রো জটিলতায় মিলল না কোনও সমাধান সূত্র। কলকাতা হাই কোর্টের (Kolkata High Court) নির্দেশে...

লোকপালের সিদ্ধান্ত ত্রুটিপূর্ণ, মহুয়ার বিরুদ্ধে CBI চার্জশিটের নির্দেশ খারিজ দিল্লি হাইকোর্টের

‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় (Cash for query) চার সপ্তাহের মধ্যে সিবিআই চার্জশিট সংক্রান্ত লোকপালের নির্দেশ খারিজ করে দিল...