হুমকিতেই আটকে বঙ্গ বিজেপি নেতারা। তবে দেশজুড়ে হুমকির রাজনীতিতেই যে অভ্যস্থ বিজেপি নেতারা, ফের একবার প্রমাণ করলেন বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা (Manoj Tigga)। তবে এবার আর খোলা মাঠে হুমকি নয়। শালীনতার সব মাত্রা ছাড়িয়ে মাদারিহাটের বিডিও-র (BDO, Madarihat) ঘরে ঢুকে তাঁর টেবিল চাপড়ে অকথ্য ভাষায় হুমকি (threat) দিতে দেখা গেল বিজেপি সাংসদকে। কার্যত বিজেপির মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা চলছে কুকথা ও হুমকি, কটাক্ষ বাংলার শাসকদল তৃণমূলের। দলের কাছে নম্বর বাড়ানোর চেষ্টা বলেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
বাংলায় যে ধরনের শালীনতার মাত্রা ছাড়াতে আগে দেখা যায়নি, বিজেপির আমলে তা এখন খুবই সহজলভ্য। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) লোকসভার সাংসদ মনোজ টিগ্গা ত্রাণ (relief) সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সমস্যা নিয়ে বুধবার দ্বারস্থ হন মাদারিহাট বিডিও অমিতকুমার চৌরাশিয়ার। সেইদিনেরই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় (ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি)। যেখানে দেখা যায় বিডিও সাংসদকে বারবার বসার কথা বললেও তিনি কান দেননি। হুমকির টোনে বারবার বিডিওকে উল্টে রাজনৈতিক দোষারোপের পালা চালিয়ে যান। যদিও বিডিও অমিতকুমার তার পাল্টা বারবারই সৌজন্যের টোনে সাংসদকে শান্ত করার ও পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করে যান। তাঁর তরফ থেকে সৌজন্যের কোনও অভাব ধরা পড়েনি।
আরও পড়ুন: প্রকাশ্যে BLO-দের হুমকি! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কমিশনে অভিযোগ দায়ের তৃণমূলের
যেভাবে বিজেপি সাংসদ সরকারি আধিকারিকের উপর হম্বিতম্বি করেন, তাতে বিজেপির চিরাচরিত ঔদ্ধত্য ও হুমকির স্বভাবই যে প্রকাশ পেয়েছে তা নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূল রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। পুরোনো ইতিহাস স্মরণ করিয়ে তাঁর দাবি, সাংসদ হিসাবে সংযত ভূমিকা পালন করা উচিত ছিল। দলের কাছে নম্বর বাড়ানোর জন্য ক্যামেরার অ্য়াঙ্গেলে ফটোশুট করছিলেন। সরকারি অফিসারের উপর কত তম্বি করা যায়, যে ক্যামেরায় ছবি উঠেছে সেটা নিজেকে সানি দেওল (Sunny Deol) দেখানোর জন্য। ইন্দোরে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র ছেলে উইকেট দিয়ে মেরেছিলেন। এখানেও দেখানো হল – দেখো আমিও পারি। বিডিও বলছেন বসুন। উনি একতরফা তম্বি করছেন। এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। সরকারি আমলাকে ধমক, বিএলও-দের হুমকি। কেন্দ্রীয় সরকারের থাকার ক্ষমতা নিয়ে কখনও এজেন্সির হুমকি। এটাই বিজেপি।
–
–
–
–
–
–