দেশ থেকে অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের তাড়াতে গোটা দেশে এসআইআর করার প্রয়োজন আছে, দেশের মানুষকে এভাবেই ভুল বুঝিয়েছে বিজেপি ও তার নেতৃত্ব। অথচ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়েই (Delhi University) পড়ানো হচ্ছে বাংলাদেশের কবি সৈয়দ আলাওল-এর (Syed Alaol) লেখা কবিতা। রোহিঙ্গা (Rohinga) নীতি নিয়ে বিজেপির এই দ্বিচারিতাকে তোপ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu)। তিনি স্পষ্ট করে দিলেন আদতে রোহিঙ্গা ধুয়ো তুলে বিজেপি ভেদাভেদের রাজনীতি করতে চায়। বাংলা কখনও এই ভেদাভেদের রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেয় না।

দিল্লি ও পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদাহরণ তুলে ধরে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু স্পষ্ট করে দেন বিজেপির দ্বিচারিতা। তিনি প্রশ্ন তোলেন, সারা ভারতবর্ষে এসআইআর (SIR) করাচ্ছে। বিজেপি অধ্যুষিত দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) সেখানে দুজন রোহিঙ্গা কবি তাদের কাব্য এবং জীবনকৃতি পড়ানো হচ্ছে কেন – সৈয়দ আলাওল (Syed Alaol) ও দৌলত কাজির (Daulat Qazi) লেখা ‘লোরচন্দ্রানি’ আর ‘পদ্মাবতী’ কাব্য। পাটনায় এসআইআর করছেন, পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় রোহিঙ্গা কবিদের কবিতা পড়াচ্ছে কেন?

বাস্তবে অজ্ঞ বিজেপির নেতারা যে নিছক ভেদাভেদের রাজনীতির জন্য এসআইআর-কে শিখণ্ডি করছে, তা স্পষ্ট করতে ব্রাত্য ব্যাখ্যা করেন, রোহিঙ্গা শব্দটা কোথা থেকে এসেছে? রোশান থেকে। বার্মার (Mayanmar) রাখাইন প্রদেশ। সেখানকার কবিদের কবিতা পড়ানো হচ্ছে। এরা জানে না। এরা পড়ায়। কারণ একটা সাংস্কৃতিক যোগাযোগ এত সহজে ছিন্ন করা যায়? ওখানে শরৎচন্দ্র চাকরি করতেন। ওই পথে শরৎচন্দ্র এসেছেন। বিজেপির কাছে ওটা ঘুসপেটিয়াদের পথ। আমাদের কাছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পথ।

আরও পড়ুন: SIR আবহে প্রকাশিত ‘আমি কী নাগরিক?’, বিজেপির পর্দাফাঁস ব্রাত্যর

যে এসআইআর-এর ধুয়ো তুলে ভেদাভেদের রাজনীতি করতে চাইছে বিজেপি ও নির্বাচন কমিশন, তা যে কতটা অপরিকল্পিত, এদিন স্পষ্ট হয়ে যায় শিক্ষামন্ত্রীর (Education Minister) কথায়। তিনি স্পষ্ট জানান, কোনও লিখিত যোগাযোগ নির্বাচন কমিশন (Election Commission) স্কুল শিক্ষা দফতরকে (Education Department) করেনি। কোন কোন শিক্ষককে নিচ্ছে কমিশন, শিক্ষা দফতর জানে না। শিক্ষকরা ঠিকই বলেছেন। একটি সরকারি সংস্থা অন্য একটি সরকারি সংস্থাকে চিঠি দেবে। এতে কী সমস্যা জানা নেই।

–

–

–

–

–


